২৪ মে ২০২২ - ১২:৪৮
‘তড়িঘড়ি সেনা প্রত্যাহার ছিল পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির ব্যর্থতা’

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট সেনাদের বিশেষ করে ব্রিটিশ সেনাদের তড়িঘড়ি প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘটনাকে ‘নেতৃত্ব, পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির পদ্ধতিগত ব্যর্থতা’ বলে অভিহিত করেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। হাউজ অব কমন্সের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির এক তদন্ত প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উঠে এসেছে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে তালেবানের কাবুল দখলের আগে ও দখলের মুহূর্তে যা ঘটেছে তাকে ‘জাতীয় বিপর্যয়ের সময় প্রস্তুতি ও নেতৃত্বের ভয়াবহ ব্যর্থতা’ ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “আফগানিস্তান থেকে আমাদের সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটি ছিল একটি বিপর্যয় এবং আমাদের মিত্রদের বিশ্বাসঘাতকতা যা বহু বছর ধরে যুক্তরাজ্যের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”

মার্কিন নেতৃত্বাধীন হাজার হাজার বিদেশি সেনার উপস্থিতিতে ২০২১ সালের আগস্ট মাসের গোড়ার দিকে তালেবানের হাতে একের পর এক আফগান শহরের পতন হতে থাকে। এ সময় মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের প্রশিক্ষিত আফগান সেনাবাহিনী বহু বছর ধরে তালেবানের অগ্রযাত্রা ঠেকিয়ে রাখতে পারবে। এ কারণে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনাদেরও আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি।

এ অবস্থায় মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে তালেবান সেনারা রাজধানী কাবুল অবরোধ করে এবং ১৫ আগস্ট তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে কাবুলের পতন হয়।সে সময় তালেবান সুযোগ না দিলে হাজার হাজার বিদেশি সেনার জীবন বিপন্ন হতে অথবা তাদের সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষ হতে পারত।

ব্রিটিশ হাউজের তদন্ত প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে, আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে ব্যাপারে ওয়াশিংটনকে সঠিক পরামর্শ দিতে এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করতে ব্যর্থ হয় লন্ডন। ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে যেন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য প্রতিবেদনে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়েছে।#

342/