তিনি বলেন, ইরানের সাম্প্রতিক নৈরাজ্যের সময় কিছু ইউরোপীয় দেশ প্রমাণ করেছে যে, তারা ইরানে তাদের দেশগুলোর জনগণের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার চেয়ে তাদের পক্ষপাতসুলভ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে চায়।
ইরানে গত মধ্য-সেপ্টেম্বরে মহিলা পুলিশের হেফাজতে কুর্দি নারী মাহসা আমিনি অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার পর থেকে গত কিছু দিন ধরে সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে যাচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল।অন্যদিকে ইরানের যেসব শত্রু এদেশের ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চায় তারা এই নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের মাধ্যমে তেহরান সরকারের পতন ঘটানোর আশায় দাঙ্গাবাজদের নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে জানিয়েছে, চলমান নৈরাজ্যে আমেরিকা ও ব্রিটেনের সরাসরি হাত রয়েছে। মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, সম্প্রতি ইহুদিবাদী ইসরাইল ও বিপ্লব-বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষাকারী বেশ কিছু সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।
টেলিফোনালাপে ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের আলোচনা নিয়েও কথা বলেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। তিনি বলেন, আমরা সব সময় ইউরোপীয়দের সঙ্গে সংলাপে বিশ্বাসী। অথচ ২০১৮ সালে আমেরিকা ওই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তিন ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানি এটি বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তেহরান ও মদ্রিদের মধ্যকার বর্তমান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে এই সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।#
342/