ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য শর্ত বেঁধে দেয়ার ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে রাশিয়া এই হামলা চালালো। ইউক্রেনের দেয়া শর্তকে রাশিয়া অবাস্তব এবং অপর্যাপ্ত বলে আখ্যা দিয়েছিল।
গতকালের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর জাতির উদ্দেশ্যে জরুরি ভাষণে জানান, ইউক্রেনের ওপর ৮৫টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। জেলেনস্কির দপ্তর থেকে পরিস্থিতিকে খুবই জটিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের মধ্য এবং উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।
প্রেসিডেন্টের দপ্তরের উপপ্রধান কিরিল তিমোশেঙ্কো জানিয়েছেন, “বিশেষ করে রাজধানী কিয়েভের পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন।” কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর রাজধানী কিয়েভেরে অর্ধেক মানুষ এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় লাভিব শহরের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় পড়েছে।
ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, নয়টির বেশি অঞ্চলে রাশিয়া গতকাল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাজধানী কিয়েভে অন্তত একজন নিহত হয়েছে। ইউক্রেনের সেনারা তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করে এবং সেটি একটি আবাসিক ভবনের ওপর পড়ার কারণে ওই ব্যক্তি নিহত হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়া আরো হামলা চালাতে পারে, এজন্য তিনি জনগণকে নিরাপদ আশ্রয় থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী জার্মান গলুশেঙ্কো গতকালের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ইউক্রেনের বিদ্যুৎস্থাপনার ওপর এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় হামলা বলে উল্লেখ করেন।#
342/