‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
বুধবার

২১ ডিসেম্বর ২০২২

৮:৩৮:০৬ PM
1332765

অসমের বটদ্রবায় উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন মুসলিমরা, এআইইউডিএফের প্রতিবাদ

ভারতের বিজেপিশাসিত অসমের বটদ্রবায় সরকারি উচ্ছেদ অভিযানে সেই এলাকায় বহু বছর ধরে বসবাসরত মুসলিমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

বটদ্রবার হাইডুবি, জামাইবস্তি, বরদোয়া, ভোমরাগুড়ি, লালুংগাও এবং সরকারি বীজপাখ এলাকায় উচ্ছেদ চালিয়ে ৯৮৫ বিঘা জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। গত (সোমবার) ওই উচ্ছেদ অভিযানে তিনশোর বেশি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) ওই ইস্যুতে  এআইইউডিএফ বিধায়করা বিধানসভায় আলোচনার দাবি জানালে স্পিকার তা খারিজ করে দেন। ক্ষুব্ধ বিধায়করা এ সময়ে ওয়েলে নেমে প্ল্যাকার্ড হাতে শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে তারা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন।   

আজ (বুধবার) অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত অসমে সরকারি জমি ও বনভূমি খালি করার কাজ চলবে। তিনি বলেন, হিন্দু-মুসলিম যেই হোক না কেন, তাদের সত্রের জমি ছাড়তে হবে। 

বটদ্রবার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এআইইউডিএফ বিধায়ক করিমউদ্দিন বড়ভুঁইয়া  বলেন, বর্তমানে রাজ্য সরকারের আমলে মুসলিমদের টার্গেট করে উচ্ছেদ চালানো হচ্ছে। আর শীতের সময়ে এই অমানবিক উচ্ছেদ কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। তার মতে, উচ্ছেদের নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।  এদিকে, বিশেষ ডিজিপি জিপি সিংহ বলেন, উচ্ছেদের কবলে পড়া ৮০ শতাংশ পরিবারের অন্যত্র পাটতা জমি থাকার পরও বটদ্রবার বিভিন্ন এলাকায় জমি দখল করে বাস করছিল। 

অন্যদিকে উচ্ছেদ অভিযানের আগে ১৪৪ ধারা জারি করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। হাইডুবির এক ক্ষতিগ্রস্ত মহিলা বলেন, ‘বাড়ি-ঘর গুড়িয়ে  দেওয়ার পরিবর্তে সরকার আমাদের গুলি করে মেরে ফেলতেই পারে। নলকূপটিও তুলে নেওয়া হয়েছে। শীতের সময়ে খলা আকাশের নীচে এসে দাঁড়িয়েছি। খাওয়া দাওয়াও নেই। কোথায় যাব জানি না।’ 

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের এক সদস্য বলেন, চোখের সামনে এভাবে বাড়ি-ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্য দেখা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আবার কেউ বলেন, অসমে জীব-জন্তুর সম্মান আছে, কিন্তু মুসলমানদের নেই। কেউ কেউ বলেন ৫২ বছর ধরে এই এলাকায় বাস করছি। খাজনাও দিয়ে আসছিলাম। কিছুদিন আগে পাট্টা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল আমাদের। কিন্তু বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে এখন কোথায় যাব, জানি না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।#             

342/