তিনি বলেন, ২০২৪ সাল জুড়ে মূল্যস্ফীতির উচ্চহার বিরাজ করবে এবং শেষ নাগাদ এর মাত্রা শতকরা দুই ভাগে নেমে আসতে পারে। মনিকা সিনিৎজার বলেন, “আমরা উচ্চ হারের মূল্যস্ফীতি দেখছি এই কারণে যে, বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্যমূল্যের উচ্চ মাত্রা ক্রেতাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে পণ্যমূল্য অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।”
নভেম্বর মাসে জার্মানির মূল্যস্ফীতি শতকরা ১১.৩ ভাগে দাঁড়িয়েছে। ১৯৫০ দশকের পর এই প্রথম দেশটিতে এত মারাত্মক রকমের মূল্যস্ফীতি দেখা দিল।
সিনিৎজার বলেন, তিনি বিদ্যুতের উচ্চমূল্যের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। সরকারের উচিত দ্রুত বাকি তিনটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র আরো দুই থেকে তিন বছর চালিয়ে নেয়া যায় কিনা তার পরিকল্পনা করা।
জার্মানি আগেই পরিকল্পনা করেছিল যে, চলতি বছরের মধ্যেই তার সমস্ত পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেবে কিন্তু গত অক্টোবরে সরকার পরিকল্পনা পুনর্ববিন্যাস করে এবং আগামী এপ্রিল পর্যন্ত এসব পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট এবং ভয়াবহ রকমের মূল্যস্ফীতির জন্য জার্মান সরকার রাশিয়াকে অনেকাংশে দায়ী করছে। তারা বলছে, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার কারণে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।#
342/