‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
বৃহস্পতিবার

২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

৮:০৯:৩৮ PM
1343160

বেফাকুল মাদারিসিশ শিয়া প্রধান:

সন্ত্রাসীদেরকে নির্মূল না করা পর্যন্ত দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়

বেফাকুল মাদারিসিশ শিয়ার প্রধান এবং লাহোরের জামিয়াতুল মুন্তাযারের অধ্যক্ষ পেশোয়ারে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন: তাকফিরি সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এ কারণেই সন্ত্রাসীরা তাদের কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হচ্ছে।

হলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা):  বেফাকুল মাদারিসিশ শিয়ার প্রধান এবং লাহোরের জামিয়াতুল মুন্তাযারের অধ্যক্ষ আয়াতুল্লাহ হাফেয সাইয়্যিদ হাসান রিয়ায হুসাইন নাজাফি পেশোয়ারে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এ হামলার ঘটনাকে জাতীয় বিপর্যয় বলে আখ্যায়িত করেছেন।

তিনি বলেন: জাতীয় পর্যায়ে বাস্তবমুখী কর্মসূচী গ্রহণ করা হলে আজ এ দৃশ্য দেখতে হত না। সন্ত্রাসীদেরকে নির্মূল না করা পর্যন্ত দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।

আয়াতুল্লাহ নাজাফি বলেন: নিষিদ্ধ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ালেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কেউ নেই।

মহান আল্লাহর সামনে সিজদায় মাথা নত করা মুসল্লিদের মাঝে আত্মঘাতী বোমা হামলাকে তিনি সন্ত্রাসীদের নিষ্ঠুর ও নৃশংস কাজ বলে অভিহিত করেন।

বেফাকুল মাদারিসিশ শিয়া’র প্রধান আরও বলেন: পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদ সমস্যায় ভুগছে, কিন্তু এদেশের জনগণ এখনও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পায় নি।

তাকফিরি সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কেউ নেই, এ কারণেই তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন: জাতীয় পর্যায়ে বাস্তবমুখী কর্মসূচী গ্রহণ করা হলে আজ এ দৃশ্য দেখতে হত না। সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে বাস্তবমুখী কর্মসূচী হাতে নিতে হবে।

লাহোরের হাওযা ইলমিয়া জামিয়াতুল মুন্তাযারের অধ্যক্ষ বলেন: নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থাগুলোর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের বিষয়ে আমরা সন্দিহান নই। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে, মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

বলাবাহুল্য, গত সোমবার (৩০ জানুয়ারি)  পাকিস্তানের পেশোয়ার শহরের একটি মসজিদে আত্মঘাতী ব্যক্তি প্রবেশ করে তার সাথে থাকা এক্সপ্লোসিভ বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটায়। ঐ সময় ১২০ জন মুসল্লি মসজিদে নামায আদায় করছিলেন, যাদের বেশীরভাগই পাকিস্তান পুলিশ ও আর্মির সদস্য। হামলায় অন্তত ১০০ জন প্রাণ হারিয়েছে।

উর্ধ্বতন এক সরকারি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানা গেছে যে, এ সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িত সন্দেহ ২৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ কর্মকর্তা গতকাল (বুধবার) বলেন, হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার সম্ভাবনার বিষয়টিকেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন: কিভাবে বিস্ফোরক দ্রব্য পুলিশ লাইনের মধ্যে এল এবং এ বিস্ফোরণে পুলিশ কর্মকর্তারা জড়িত কিনা বিষয়টি উদ্ঘাটনে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

তদন্তকারী দল এ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে যে, পেশোয়ারের সবচেয়ে সুরক্ষিত এলাকা সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বাহিনী এবং গোয়েন্দা বাহিনীর অবস্থানস্থলে কিভাবে এমন নিরাপত্তা লঙ্ঘন হল।#176