‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
শুক্রবার

৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

১২:০২:১০ PM
1343265

'ঢাকার বাস্তবতায় পাতাল রেল হবে ব্যয়বহুল, উড়াল মেট্রো সময়োপযোগী'

বাংলাদেশে যানজটে বিপর্যস্ত রাজধানী ঢাকার মানুষকে মুক্তি দিতে ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা মহানগর ও সংলগ্ন অঞ্চলে মোট ছয়টি মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে এমআরটি-৬ এর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পল্লবী অংশ খুলছে ইতোমধ্যে। আর আজ (বৃহস্পতিবার) প্রথম পাতাল মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বেলা ১১টার কিছু পর নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের পূর্বাচল ৪ নম্বর সেক্টরে ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন তিনি। এসময়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের সবচেয়ে ভাল দিক হলো এতে পরিবেশ দূষিত হবে না।

ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় মেট্রোরেল হবে উড়াল ও পাতালের সমন্বয়ে। দুটি রুটে মোট ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ করা হবে। আর এতে খরচ হবে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ডিএমটিসিএলের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, মেট্রোরেলের যে অংশ মাটির নিচ দিয়ে চলবে সেটিই পাতাল রেল নামে পরিচিতি পাচ্ছে। এমআরটি লাইন-১ এর আওতায় নির্মাণ হবে মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার রেলপথ। এই পথে থাকবে দু'টি রুট বিমানবন্দর (বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর) আর দ্বিতীয় পূর্বাচল রুট (নতুনবাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো)। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত রুটের দৈর্ঘ্য হবে ২০ কিলোমিটার। এই রুটে মোট পাতাল স্টেশন থাকবে ১২টি। বিমানবন্দর-কমলাপুর রুটই হবে দেশের প্রথম পাতাল রেলপথ। মেট্রোরেলের মতো এটিও হবে বিদ্যুৎচালিত ট্রেন এবং এটি হবে দূর নিয়ন্ত্রিত ট্রেন। দূর নিয়ন্ত্রিত ট্রেনের জন্য থাকবে অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার।

এমআরটি লাইন-১ এর আওতায় যে দুটি অংশ থাকবে এর একটি বিমানবন্দর-কমলাপুর রুট পুরোটাই মাটির নিচ দিয়ে যাবে। আর দ্বিতীয় অংশ পূর্বাচল রুটের যে ১১ কিলোমিটার তার পুরোটাই যাবে উড়াল পথে। এমআরটি-১ এর রেললাইনে দুটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশটি পুরোপুরি পাতালপথে, দ্বিতীয়টি উড়ালপথ। এ পথে স্টেশনের সংখ্যা মোট ৯টি।

উড়াল-পাতাল মিলিয়ে প্রতিটি স্টেশনে ট্রেন থামবে প্রতি আড়াই থেকে সাড়ে তিন মিনিট পরপর। এই ৩১ কিলোমিটার পথে চলবে ২৫টি ট্রেন। যার প্রতিটি একবারে তিন হাজারের বেশি যাত্রী পরিবহন করার সক্ষমতা থাকবে।

তবে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে পাতাল মেট্রোরেল না উড়াল মেট্রোরেল ভালো হবে তা নিয়ে রয়েছে নানা মতভেদ। বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষনে উঠে আসছে নানা তথ্য। এ প্রসঙ্গে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম বলেন, পাতাল রেল প্রকল্প ঢাকা নগরীর আর্থ-সামাজিক-পরিকল্পনাগত বিবেচনায় ব্যয়বহুল, উচ্চাভিলাষী ও অপরিণামদর্শী।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক  বলেন, শহর বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে দু ধরনের মেট্রোরেল করছে বাংলাদেশ। এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, চেষ্টা করা হচ্ছে মাটি খননের টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) বাংলাদেশেই তৈরি করার। তাহলে নিজেদের ক্যাপাবিলিটি বাড়বে। খনন কাজটি কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মাটির নিচে ৩০ মিটার আবার কোথাও কোথাও ৭০ মিটার গভীরে করা হবে বলে জানান ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক।#