‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
মঙ্গলবার

২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

৬:০৫:৪৩ PM
1347983

‘ইউক্রেন সংঘাতে আমেরিকা আগুনে ঘি ঢালছে’

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন মার্কিন অভিযোগের পাল্টা জবাবে বলেছেন, ইউক্রেন সংঘাতে উসকানি দিতে ওয়াশিংটন সব রকমের পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তারাই ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র ঢালছে। চলমান সংঘাতের মধ্যে চীন রাশিয়াকে অস্ত্র দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে ওয়াশিংটন অভিযোগ তোলার পর চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এই জবাব দিলেন।

ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, "চীন নয় বরং আমেরিকা ইউক্রেন যুদ্ধের ময়দানে অস্ত্রের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। উল্টোদিকে, ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পর থেকে বেইজিং শান্তি আলোচনার পক্ষে সমর্থন দিয়ে চলেছে।"

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সুস্পষ্ট করে বলেন, সমস্ত প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিলে আমেরিকা এমন কোন অবস্থায় নেই যেখান থেকে তারা চীনকে করণীয় ঠিক করে দিতে পারে। তিনি আরো বললেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিপূর্ণভাবে জানা আছে- কারা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সংলাপের আহ্বান জানাচ্ছে আর কারা চলমান সংঘাতের আগুনের ঘি ঢালছে। আমরা আমেরিকাকে গুরুত্বসহকারে বলবো, তারা যেন প্রকৃতপক্ষে সংঘাত নিরসন করে শান্তি আলোচনায় বসার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালায় এবং ভুল তথ্য প্রচারের সব রকমের পদক্ষেপ বন্ধ করে।”

রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএস-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, রাশিয়াকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দেয়ার পরিকল্পনা করছে চীন। সে সময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্কের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনবে। 

এরপর পর জাতিসংঘে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ড সিএন টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, রাশিয়াকে চীনের অস্ত্র দেয়ার বিষয়টি ওয়াশিংটন রেডলাইন হিসেবে বিবেচনা করে।

আমেরিকা এমন সময় রাশিকে অস্ত্র দেয়ার বিষয়ে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যখন তারা নিজেরাই হাজার হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র দিয়েছে ইউক্রেনকে। এমনকি গতকাল সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট গোপন সফরে ইউক্রেন পৌঁছে আরো ৫০ কোটি ডলারের অস্ত্র দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আমেরিকা এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে বিভিন্ন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং নানা রকমের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়েছে। সম্প্রতি তারা আব্রামস ওয়ান ট্যাংক দেয়ার ঘোষণা দেয়। ইউক্রেন এখন আমেরিকার কাছে এফ-১৬ জঙ্গিবিমান দাবি করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, আমেরিকা নিকট ভবিষ্যতে ইউক্রেনের সে দাবিও পূরণ করতে পারে।#

342/