‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
শনিবার

৬ মে ২০২৩

১০:২৯:১৭ AM
1363137

কিশোরগঞ্জে পাগলা মসজিদের ৮টি দানবাক্সে এবার মিলল ১৯ বস্তা টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক ৪ মাস পর আবারও খোলা হয়েছে। শনিবার (৬ মে) আজ সকাল ৮টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৮টি দানবাক্স খুলে পাওয়া গেছে ১৯ বস্তা টাকা। চলছে গণনার কাজ।

কিশোরগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক মোঃ মনির হোসেন রেডিও তেহরানকে জানিয়েছেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানসিন্দুক খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে আজ সকাল আটটায় সিন্দুকগুলো খোলা হয়।

টাকা গণনা কাজে সিনিয়র সহাকরী কমিশনার শেখ জাবের আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, সাদিয়া আফরীন তারিন, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, ৮টি দানবাক্স খুলে ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছে। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা যাবে।

এর আগে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৮টি দানবাক্স থেকে তিন মাস ছয় দিনে পাওয়া গিয়েছিল ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। এছাড়াও দান হিসেবে পাওয়া গিয়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার।

মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তাও করা হয়। এ ছাড়া মসজিদের জমানো টাকা দিয়ে এখানে মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অর্ধলক্ষ মুসল্লি যাতে একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন, এ রকম আকর্ষণীয় একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় ১২০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে।

কথিত আছে- প্রায় ৫০০ বছর আগে বাংলার ১২ ভুঁইয়া বা প্রতাপশালী ১২ জন জমিদারের অন্যতম ঈশা খাঁর আমলে ‘দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা’ নামে একজন ব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তী সময়ে ওই স্থানটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ নামে পরিচিতি পায়।

সাধারণ মানুষের বিশ্বাস এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত বা দান করতে আসেন।#

342/