গত ১৯ মে (শুক্রবার)
জুমার খুতবায়, শেইখ সানকুর ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাথে বাহরাইনের সম্পর্ক
স্বাভাবিক করার সাথে সঙ্গতি রেখে পাঠ্যক্রম পরিবর্তন প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
গৃহীত পদক্ষেপের সমালোচনা করেছিলেন। পাশাপাশি বাহরাইন কর্তৃপক্ষকে সাধারণ জনগণ,
বিশেষ করে বন্দিদের পরিবারের মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার আহবান জানান।
ইমাম সাদিক (আ.) মসজিদের খতিবকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বাহরাইনের শিয়া নেতা শেইখ ঈসা কাসিম বলেন; বাহরাইনের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের দ্বারা শেখ সানকুরকে অপমান ও অপদস্থ করার পেছনে মূল ইন্ধন জুগিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল।
তিনি বলেন, বাহরাইন কর্তৃপক্ষ ইহুদিবাদী ইসরাইলের সন্তুষ্টির জন্য যেকোনো অপরাধ করতে অতি উৎসাহী, এমনকি তা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিনষ্ট, সামাজিক শান্তিকে হুমকিতে ফেলা এবং দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য লঙ্ঘন এবং দেশের সভ্যতার বিরুদ্ধে মূর্খতাপূর্ণ অভ্যুত্থান করে হলেও।
বাহরাইনের বিরোধী দলও একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে বাহরাইনের এই বিশিষ্ট আলেমকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে তার অবিলম্বে মুক্তি দাবি করে।
‘জামিয়াত আল-উইফাক’ বাহরাইনের অন্যতম নেতা মাজিদ মিলাদি বলেন, শেইখ সানকুর একজন বিশিষ্ট জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার যথেষ্ট অবদান রয়েছে। আমরা তার সাথে সম্পূর্ণভাবে তার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি।
আল-উইফাক বাহরাইনের অপর নেতা জামিল কাজেমও শেখ সানকূরকে ইসলামী চিন্তাধারার অন্যতম বিখ্যাত চিন্তাবিদ ও গবেষক হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, শেইখ সানকূর সাধারণত সংস্কারমূলক বক্তৃতা দিয়ে থাকেন যা দেশের রাজনীতি, অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ সাধারণ জনগণের স্বার্থসিদ্ধ।
বাহরাইনের বেশ কয়েকটি অঞ্চলেও শেখ সানকুরের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে প্রকাশ্য বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা তার মুক্তি এবং সাম্প্রদায়িক কারণে এ ধরনের হয়রানী ও গ্রেপ্তারের অবসানের দাবি জানায়।
উল্লেখ্য, বাহরাইন কর্তৃপক্ষ "জামিয়াত আল-উইফাক বাহরাইনে'র" উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইসলামি চিন্তাবিদ ও গবেষককে গ্রেপ্তার করেছে এবং রাজনৈতিক কারণে তাদের অনেককে কারাগারে পাঠিয়েছে। আল-উইফাকসহ বিভিন্ন মানবাধিকার ভিত্তিক সংগঠন বাহরাইন সরকারের এ নীতির সমালোচনা করে আসছে বহুদিন ধরে।#176