আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা
(আবনা): দক্ষিণ আমেরিকার ৭ লক্ষ ৫৩ হাজার
মানুষের একটি দেশ গায়ানা; এর আয়তন ২১৪৯৯৯ বর্গ কিলোমিটার। দেশটির দক্ষিণ ও পশ্চিমে
ব্রাজিল,
উত্তর-পশ্চিমে ভেনিজুয়েলা, দক্ষিণ-পূর্বে সুরিনাম এবং উত্তর-পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর। গায়ানা একটি
গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশ যেখানে সারা বছর বৃষ্টিপাত হয় এবং নদী ও জলধারাগুলি জলে পূর্ণ
থাকে।
গায়ানার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর ‘জর্জ টাউন’, যা দেশটির রাজধানী এবং দেশটির প্রায় এক তৃতীয়াংশ জনগণ এই শহরে বসবাস করে। গায়ানায় মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ মুসলমান, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় সতের শতাংশ। ইরানে ইসলামী বিপ্লবের আগে এখানে শুধুমাত্র হানাফি মাজহাবের অস্তিত্ব ছিল; যা ভারতীয় মুবাল্লিগদের মাধ্যমে প্রচারিত হত। এর পর থেকে ধীরে ধীরে শিয়া মাজহাবের প্রচার শুরু হয়। গায়ানার শিয়ারা মহরম মাসের দিবসগুলিতে ভারতীয় রীতিতে শোক পালন করে থাকে।
প্রথমবারের মতো একজন ইরানী ক্বারি গায়ানায় গেলে ইসলামী সংগঠনগুলির সাথে প্রথম যোগাযোগ স্থাপিত হয়। হুজ্জাতুল ইসলাম মোহাম্মদ হাসান ইব্রাহিমি নামে একজন ইরানী আলেম সেখানে কিছুদিন সেখানে অবস্থান করেন এবং রেডিও ও টেলিভিশনের পাশাপাশি পত্রিকার মাধ্যমে মাজহাবের প্রচারকার্যে তৎপরতা চালান। কিন্তু তার অনুষ্ঠানগুলি প্রচারের পর, ২০০৪ সালের ২০শে এপ্রিল তাকে অপহরণ এবং শহীদ করা হয়।
হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ মুহাম্মদ তসদিক আবেদি, গায়ানার আল-মুস্তফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সংশ্লিষ্ট সংস্থার একজন কর্মকর্তা। তিনি ২০০৫ সালে ভারত থেকে গায়ানায় (উত্তর-পূর্ব দক্ষিণ আমেরিকায়) হিজরত করেন এবং বর্তমানে প্রায় ১৬ বছর যাবত তিনি গায়ানার অবস্থিত আল-মুস্তফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ঐ সংস্থায় ধর্মীয় শিক্ষা প্রচার ও প্রসার করে চলেছেন।
আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থার সাধারণ পরিষদের সপ্তম অধিবেশনের অবকাশে, বার্তা সংস্থা ‘আবনা’ এই সক্রিয় মুবাল্লিগের সাক্ষাতকারটি গ্রহণ করেন। নিম্নে সম্পূর্ণ সাক্ষাতকারটি তুলে ধরা হল:
ـــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــ
-পাকনেহাদ ও সায়াদাত
ـــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــ
আবনা: গায়ানায় শিয়াদের অবস্থা সম্পর্কে বলুন।
যখন আমি গায়ানায় প্রবেশ করি তখন এদেশের শিয়াদের অবস্থা ছিল ঠিক জাহিলিয়াতের যুগে মক্কার মতো এবং মানুষেরা কিছুই জানত না; অবশ্য বহুকাল ধরে গায়ানায় ইসলাম বিদ্যমান, আর ১৯৭০ সালের পর থেকে দেশটিতে আহলে সুন্নত তাদের কার্যক্রম শুরু করে এবং মালি, লিবিয়া, কুয়েত এবং সৌদি আরবের পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন মসজিদ নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে শিয়াদের সংখ্যা খুবই কম; প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ জনের মত।
গায়ানায় মোটেও ধর্মীয় গোঁড়ামি পাওয়া যায় না, আর আপনি যদি এদেশের একজন মানুষকে ইসলাম ধর্মের প্রতি রাজি করাতে পারেন, তাহলে সে খুব সহজেই মুসলমান হয়ে যাবে। গায়ানায় আন্তঃধর্মীয় বিয়ের ক্ষেত্রে কোন বাঁধা নেই; আপনি চাইলেই দেখতে পারবেন যে, একজন মুসলিম পুরুষের স্ত্রী খ্রিস্টান বা একজন হিন্দু নারীর স্বামী একজন মুসলিম পুরুষ।
বর্তমানে গায়ানার মূল সমস্যা হল, দেশটিতে আফ্রিকান ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে বিদ্যমান রাজনৈতিক বিবাদ, আর এই বিবাদগুলি কখনো কখনো দুই দলের মধ্যে মারামারি ও সংঘর্ষের রূপ নেয়। এই বিবাদ এখনো অব্যাহত রয়েছে এবং প্রতি পাঁচ বছরে অন্তত একবার নির্বাচনের প্রাক্কালে এই দুই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্য রূপ ধারণ করে।
আবনা: গায়ানায় আপনারা কোন ধরনের তাবলীগী কার্যক্রম চালিয়ে থাকেন?
এই দেশে আমাদের তাবলীগী কার্যক্রমের শুধু শিয়াদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না এবং আমরা গায়ানায় মানবিক বিষয়গুলির বিকাশে কাজ করি। আমরা গায়ানার অডিও এবং ভিডিও মিডিয়াগুলির মাধ্যমে তাবলীগী কাজ শুরু করেছি এবং আমাদের কাজের অক্ষদণ্ড হল কুরআন।
আমি আমার তাবলীগী কার্যক্রমে মানুষের মর্যাদা বিষয়ে আলোচনা করি এবং ধর্মীয় ও মাজহাবী মতপার্থক্যগুলিকে এড়িয়ে চলি, কিন্তু এ সত্ত্বেও গায়ানার কতিপয় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী, শিয়া মাজহাবের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে শিয়া মাজহাবকে গ্রহণ করেছেন।
আবনা: গায়ানায় তাবলীগের ক্ষেত্রে আপনাদের সম্মুখে কী কোন বাঁধা রয়েছে?
এ জাতীয় কাজের ক্ষেত্রে দেশটিতে কোন বাঁধা নেই এবং আমরা গায়ানার সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ভালোভাবে অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছি। গায়ানার প্রথম মুসলিম প্রেসিডেন্ট ‘ইরফান আলী’, যে আমার ভাল বন্ধু এবং এ পর্যন্ত দু’বার তার সাথে সাক্ষাত করেছি। সম্প্রতি গায়ানার বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, এই কমিটির মাধ্যমে দেশের সংবিধান পুনঃমূল্যায়ন করা হয়েছে।
সামাজিকভাবে গায়ানার ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে পরস্পরের সাথ কোন সমস্যা নেই। এমনকি তারা একে অপরকে নিজেদের অনুষ্ঠানগুলোতে আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে। অবশ্য, ওহাবীরা মাঝে মধ্যে গায়ানায় সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করে, কিন্তু তাদের সংখ্যা এতটাও নয় যে, তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে। গায়ানায় ধর্মীয় বিরোধ ও ইসলামোফোবিয়া একেবারেই নেই এবং এদেশে হিজাব পরিহিতা ও মুসলিম নারীদের বিশেষ সম্মান রয়েছে।
আফ্রিকান এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে বিবাদ, এদেশে তাবলীগের পথে কোন বাধা নয়। কিন্তু আমরা যদি গায়ানার জাতিগত বিবাদগুলোর সমাধান করতে পারি, তাহলে এটি হবে দেশটির জন্য মহৎ একটি কাজ। বর্তমানে দেশটির জাতিগত বিবাদ নিরসনে “এক একক গায়ানা” নামক একটি আন্দোলন চলমান রয়েছে এবং স্বয়ং গায়ানার প্রেসিডেন্ট এই আন্দোলনের প্রচার চালাচ্ছেন।
আবনা: কৌশলগত দিক থেকে গায়ানার কোন ধরনের গুরুত্ব রয়েছে?
ভৌগলিক দিক দিয়ে গায়ানা, দক্ষিণ আমেরিকাকে উত্তর-মধ্য আমেরিকার সাথে সংযুক্ত করেছে এবং এই দেশ তার কৌশলগত অবস্থানের ফলে বিশেষ আগ্রহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র কোটি কোটি ডলার দেশটিতে বিনিয়োগ করেছে। আমি মনে করি, আগামী ৫ থেকে ১০ বছর পর গায়ানা বিশ্বে পরিচিত মুখ হয়ে উঠবে।
আবনা: মুসলিম বিশ্বের সামনে সবচেয়ে বড় হুমকি কী?
বাহ্যিক বিপদের তুলনায় অভ্যন্তরীণ সমস্যা মুসলিম বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা বিশ্বে শিয়াদের মাঝে সমন্বয়হীনতা ব্যাপকভাবে প্রত্যক্ষ করছি। আমি ২০টিরও বেশি দেশে ভ্রমণ করেছি এবং শিয়াদেরকে খুব ছোট খাট বিষয়ে পরস্পরের সাথে বিরোধ করতে দেখেছি। মুসলমানেরা এক নেতার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে।
আবনা: বর্তমান পরিবেশে পারিবারিক ভিত্তিগুলি ঠিক রাখতে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন বলে মনে করেন?
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা পারিবারিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে যাওয়া। অনলাইনে অশ্লীল কন্টেন্টগুলোতে সহজ প্রবেশাধিকার, পারিবারিক ভিত্তিগুলিকে নড়বড়ে করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। আমরা দেখেছি, এমনকি ধার্মিক ব্যক্তিরাও অনলাইনে ভুল পথে হাটছেন এবং আর এ বিষয়টি পরিবারের ভিত্তিকে বিপন্ন করে তুলেছে।
এ ক্ষেত্রে আমাদের বিকল্প পথ খুঁজতে হবে এবং সর্বোত্তম বিকল্প হল, যুবকদেরকে বিবাহের প্রতি উৎসাহিত করা এবং অনলাইন ও মিডিয়াতে উন্নত মানের কন্টেন্ট তৈরি করা।
আমাদের সন্তানরা যাতে অনুপযুক্ত কার্টুন না দেখে, সেজন্য আমাদের অবশ্যই উপযুক্ত বিষয়বস্তু নির্ভর কার্টুন তৈরি করতে হবে এবং সেগুলো দেখতে উৎসাহ দিতে হবে। বিকল্প কিছু না দিয়ে শুধু নিষেধের মাধ্যমে তাদেরকে এই অনুপযুক্ত কার্টুন দেখা হতে বিরত রাখা যাবেনা।
এক সময় আমরা পরিবারগুলিকে ভুয়া খবর ছড়ানোর কারণে বিবিসি চ্যানেলের খবর দেখতে নিষেধ করতাম; এর বিকল্প আমাদের হাতে ছিলনা, কিন্তু প্রেস টিভি চ্যানেল চালু হওয়ায় আমাদের হাতে বিকল্প ব্যবস্থা প্রদর্শনের একটি পথ খুলে যায় এবং এই চ্যানেলের কন্টেন্ট ও মান ভাল। টেলিভিশন স্যাটেলাইট থেকে প্রেস টিভি নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস বাদ দেয়া সত্ত্বেও, এখনও অনেক পরিবার ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই চ্যানেলকে ফলো করে।
মানসম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরিতে বিনিয়োগ আমাদের পারিবারিক ভিত্তিগুলো রক্ষায় সাহায্য করতে পারে। আমাদের উচিত প্রেস টিভি চালু করার মত সফল অভিজ্ঞতাকে অনুসরণ করা এবং এই অভিজ্ঞতাকে ধর্মীয় ও সামাজিক বিষয়ের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা।
আবনা: শিয়া মাজহাবের প্রসারের ক্ষেত্রে মাহদাভিয়াতের সংস্কৃতি কতটা ভূমিকা রাখতে সক্ষম বলে মনে করেন?
মাহদাভিয়াত শিয়াদের মাঝে সীমাবদ্ধ কোন বিষয় নয়, এমনকি খ্রিষ্টানরাও বিষয়টিকে মানে এবং তারাও ইমাম মাহদীর (আ.) আবির্ভাবের জন্য অপেক্ষা করছে; কেননা কোন মানুষই ন্যায়পরায়ণতা, মানবিকতা এবং প্রশান্তিকে অপছন্দ করে না। ইমাম মাহদীর (আ.) আগমনের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি ও ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠিত হবে। অতএব, ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে, মাহদাভিয়াতের বিষয়টিকে আমরা মাজহাবসমূহ ও ধর্মসমূহের মধ্যে মিলের একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে পারি এবং অন্যদেরকে শিয়া মাজহাবের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারি।
আবনা: আপনার দৃষ্টিতে বিশ্বে শিয়া ও সুন্নির মধ্যে কতটুকু ঐক্য অর্জিত হয়েছে?
আমার ধারণা, শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে ঐক্য শুধুমাত্র শিয়াদের পক্ষ থেকে একতরফা একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। সুন্নিদের অনেকে মনে করে যে, প্রয়োজনের খাতিরে শিয়ারা ঐক্যের কথা বলে। ঐক্যের বিষয়ে তারা ভুল ধারণা পোষণ করে। তারা মনে করে, এই ইস্যুটি মূলতঃ শিয়াদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের অংশ, কিন্তু আহলে সুন্নাতের এমনও অনেকে আছেন, যারা শিয়া ও সুন্নির মধ্যে সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। আর এই বিষয়টি সুন্নিদের বোঝাতে হবে যে, শিয়া ও সুন্নির মধ্যে ঐক্যে সৃষ্টি করা হলো মূলতঃ কুরআনের নির্দেশ পালন করা।
আবনা: শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে ঐক্য জোরদার করতে আপনি কি পরামর্শ দেবেন?
ঐক্যের বিষয়টি সুন্নিদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত হওয়া উচিত, যাতে এ বিষয়ে কার্যকারী ফল দেখতে পারি এবং আমাদের দায়িত্ব হল এই পথে আহলে সুন্নাতের আলেমগণের সহযোগিতা গ্রহণ করা, যাতে তারা ঐক্যের বিষয়ে অগ্রণী হন। আমি গায়ানায় নাহজুল বালাগা গ্রন্থটির প্রচারের জন্য, দেশটির আহলে সুন্নাতের এক আলেমকে একটি বই দিয়ে তাকে নাহজুল বালাগা পাঠ করার আহবান জানাই।
আমাদের উচিত শিয়া ও সুন্নির মধ্যে ঐক্য নিয়ে কথা বলা, কিন্তু এ বিষয়ে একজন সুন্নি আলেমের পক্ষ থেকে জোরালো আহবান বেশি প্রভাব সৃষ্টি করবে। এক্ষেত্রে আমাদের উচিত বিভিন্ন দেশের সুন্নি আলেমগণের সহযোগিতা নিতে পারি। আমরা সবসময় ঐক্যে আওয়াজ তুলবো আর সুন্নিরা হবে আমাদের মেহমান, এই প্রথার অবসান ঘটাতে হবে। ইসলামী ঐক্য সম্মেলন সবসময় শিয়াদের পক্ষ থেকে আয়োজিত হয়ে থাকে এবং সুন্নিরা শুধুমাত্র সেখানে অংশগ্রহণ করে থাকে। কিন্তু একটিবারের জন্যও তারা কেন ঐক্য সম্মেলনের আয়োজন করে না?!
আবনা: শেষ প্রশ্ন, সুদীর্ঘ তাবলীগী কার্যক্রমে আপনার সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা কি ছিল?
সবসময় অনুভব করি একটি অদৃশ্য হাত আছে যা আমাকে পথ দেখায়। আমার সুযোগ এবং ক্ষমতার বাইরে অনেক কাজ ছিল, যেগুলো সম্পাদন করেছি, এমনকি সফলকামও হয়েছি; আর এই বিষয়গুলি আমার বিশ্বাস এবং অধ্যবসায়কে আরও বৃদ্ধি করেছে। আমাদের অবশ্যই জানা উচিত, যদি আমরা আল্লাহর পথে নিষ্ঠার সাথে কোন পদক্ষেপ নিই, সে যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন, আমরা এমন দুর্দান্ত সমর্থনের মুখোমুখি হব যার বিষয়ে আমরা আশা করি না। সূরা কাসাসের ৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন: وَنُرِيدُ أَنْ نَمُنَّ عَلَى الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا فِي الْأَرْضِ وَنَجْعَلَهُمْ أَئِمَّةً وَنَجْعَلَهُمُ الْوَارِثِينَ ‘আর আমরা চেয়েছি যে যাদেরকে পৃথিবীতে দুর্বল বানানো হয়েছিল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে। আর তাদেরকে [সৃষ্টিকুলের] নেতা করতে আর তাদের উত্তরাধিকারী করতে। আর কুরআনের এই ওয়াদা অবশ্যই পূরণ হবে।’
আবনা: আমাদেরকে আপনার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
#176