রাজধানী বৈরুত থেকে হাসান নাসরুল্লাহ বক্তব্য রাখেন এবং তার বক্তব্য টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এ সময় তিনি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন হস্তক্ষেপ এবং সামরিক উপস্থিতির নিন্দা জানান।
হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, আমেরিকা প্রতিটি ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে এবং এ অঞ্চলের সমস্ত দুর্ভোগ-দুর্দশার মূল কারণ মার্কিন হস্তক্ষেপ। আমেরিকার কাছে নতজানু এবং আত্মসমর্পণের সংস্কৃতি এই সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সিরিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন একতরফা নিষেধাজ্ঞার নিন্দা ও সমালোচনা করে সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, আরব এই দেশটির জন্য বিদেশি কোনো মানবিক সহায়তার প্রয়োজন হতো না যদি ২০১৯ সালে ‘সিজার অ্যাক্ট’ পাস করা না হতো। এ আইনের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সিরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পুনর্গঠন কর্মকান্ডে যুক্ত হওয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি দখলদার মার্কিন সামরিক বাহিনী সিরিয়ার সরকারকে ইউফ্রেটিস নদীর পূর্ব তীর থেকে অপরিশোধিত তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে। এছাড়া, ওই অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনারা তেল চুরি করছে।
ইয়েমেনের জনগণের দুর্ভোগ দুর্দশার জন্য হিজবুল্লাহ নেতা আমেরিকাকে সরাসরি দায়ী করেন। এছাড়া, ইরাকের কাছে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ ইরান যে অর্থ পাবে তাও মার্কিন বাধার কারণে বাগদাদ পরিশোধ করতে পারছে না বলে হিজবুল্লাহ মহাসচিব উল্লেখ করেন। লেবাননের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে আমেরিকার জোর-জবরদস্তি এবং নানামুখী ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করা। তিনি বলেন, মার্কিন চাপ উপেক্ষা করে লেবাননের সরকারকে অবশ্যই জাতীয় স্বার্থ প্রাধান্য দিতে হবে।#
342/