তিনি ওই দিন নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে দেয়া এক পোস্টে তার ভাষায় ‘নির্বিচারে আটক সকল ব্যক্তি বিশেষ করে আটক সাংবাদিকদের’ মুক্তি দেয়ার জন্য ইরান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
গত বছর ইরানে পশ্চিমাদের মদদে দাঙ্গা চলার সময় যেসব সাংবাদিককে আটক করা হয়েছিল ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত তার পোস্টে তাদের প্রতি ইঙ্গিত করেন। এসব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এবং তাদের মামলার তদন্ত চলছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে শেরক্লিফের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছেন।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ বিষয়ক মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত যে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিয়েছেন তা ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সুস্পষ্ট উদাহরণ যা কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে বুধবার ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল।এ সময় শেরক্লিফ দাবি করেন, ব্রিটিশ সরকার ইরানের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী।
ইরান বলছে, ২০২২ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে মাহসা আমিনি নামের একটি মেয়ের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর জের ধরে বিদেশি হস্তক্ষেপে ইরানে দাঙ্গা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল।
ওই দাঙ্গায় ব্রিটিশ সরকারের প্রকাশ্য সমর্থনের প্রতিবাদ জানাতে গত কয়েক মাসে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে বেশ কয়েক বার তলব করা হয়। তেহরান অভিযোগ করছে, গত বছরের দাঙ্গায় লন্ডন-ভিত্তিক ফার্সি নিউজ চ্যানেল বিবিসি পার্সিয়ান ও ইরান ইন্টারন্যাশনাল ব্যাপকভাবে উস্কানি দিয়েছে।#
342/