তেহরানের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসিসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানেরাও উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামি বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী (রহ)’র মাজারের পাশে এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। আজকের কুচকাওয়াজে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী নতুন নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ও উন্নত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রদর্শন করেছে।
সম্প্রতি ইরানে তৈরি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র 'ফাত্তাহ'-ও আজকের প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে 'পাভে'। এটি একটি দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। দূর পাল্লার আত্মঘাতী ড্রোন 'অরাশ'সহ আরও অনেক নতুন সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। কুচকাওয়াজে সশস্ত্র বাহিনী তাদের যুদ্ধনৈপুণ্য ও নানা কৌশলও দেখিয়েছে।
৪৩ বছর আগে ১৯৮০ সালের এই দিনে ইরাকের সাদ্দাম সরকার ইরানে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। সাদ্দাম বলেছিলেন, তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে তেহরান দখল করে নেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইরানি বাহিনীর কাছে নাস্তানাবুদ হয় সাদ্দাম বাহিনী।
প্রতি বছর ইরানে এই আগ্রাসন শুরুর দিবস উপলক্ষে সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। এক সপ্তাহ ধরে সামরিক প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন চলে দেশজুড়ে। এই সপ্তাহকে জাতীয় প্রতিরক্ষা সপ্তাহ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।#
342/