আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেন, পরমাণু আলোচনা স্থগিত হওয়ার জন্য আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং জার্মানি দায়ী।
তিনি সুস্পষ্ট করে বলেন, পশ্চিমা এসব দেশ ইরানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে যে হস্তক্ষেপের নীতি অনুসরণ করছে সেটি পরমাণু সমঝোতা পুনর্বহালের আলোচনা অচলাবস্থায় ফেলার জন্য দায়ী। এ সময় তিনি গত বছর কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দাঙ্গা পরিস্থিতি এবং পশ্চিমা দেশগুলোর ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
ইরান ও ছয় জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে ২০১৫ সালে পরমাণু সমঝোতা সই হয় কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৮ সালে ওই চুক্তি বাতিল করে। তবে জো বাইডেন ক্ষমতা আসার পর ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ইরান ও পাঁচ জাতির মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।
এতে ইরানের আপত্তির মুখে আমেরিকা সরাসরি অংশগ্রহণ করতে না পারলেও পরোক্ষভাবে সে আলোচনায় ছিল। দুপক্ষের মধ্যে চুক্তি হওয়ার অবস্থা তৈরি হলেও ইরান এই নিশ্চয়তা চেয়েছিল যে, তেহরানের ওপর থেকে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে এবং এই চুক্তি থেকে আমেরিকা আর বেরিয়ে যেতে পারবে না।
কিন্তু সেই নিশ্চয়তা দিতে রাজি হয়নি আমেরিকা। এরপর থেকে এই আলোচনা অচলাবস্থায় পড়ে রয়েছে।#
342/