এরপর তিনি রামাল্লায় প্রেসিডেন্ট আব্বাসসহ অন্যান্য সিনিয়র ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রামাল্লায় তার ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাতাইয়া ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। এর আগে মঙ্গলবারই ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সৌদি রাষ্ট্রদূতের সফরকে স্বাগত জানিয়ে দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই সফরকে ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ বলে বর্ণনা করে।
মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতে সৌদি রাষ্ট্রদূত আস-সুদাইরি বলেন, তার দেশ পূর্ব জেরুজালেম আল-কুদসকে রাজধানী করে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনকে সমর্থন করে।
জর্দানে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আস-সুদাইরিকে সম্প্রতি ফিলিস্তিনে সৌদি আরবের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয় রিয়াদ। আস-সুদাইরি গত ১২ আগস্ট জর্দানের রাজধানী আম্মানের ফিলিস্তিন দূতাবাসে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কূটনৈতিক উপদেষ্টা মাজদি আল-খালিদির কাছে প্রথম নিজের পরিচয়পত্র পেশ করেছিলেন।
সে সময় ইহুদিবাদী ইসরাইল জেরুজালেম আল-কুদসে সৌদি রাষ্ট্রদূতের জন্য কোনো কূটনৈতিক মিশন খোলার ধারনা প্রত্যাখ্যান করে। তখন ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন বলেছিলেন, সুদাইরি আল-কুদসে ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারবেন কিন্তু তাকে সেখানে স্থায়ীভাবে বসার অনুমতি দেয়া হবে না।
ইসরাইল জেরুজালেম আল-কুদস শহরকে নিজের রাজধানী বলে দাবি করে। তবে আমেরিকা ছাড়া বিশ্বের উল্লেখযোগ্য কোনো দেশ আল-কুদসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের জন্য আল-কুদস শহরে কোনো ধরনের কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমতি দেয় না।#