আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): পূর্ব লন্ডনে বর্ণবাদী’র ছোঁড়া এসিডে ঝলসে গেছে মুসলিম দম্পতি জামিল মুখতার ও শাদি নাশি’র শরীর।
এসিড দগ্ধ স্বামী ‘জামিল মুখতার’ ঘটনার বর্ণনা এভাবে দিয়েছেন যে, ‘আমরা ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়িতে বসেছিলাম। এ সময় এসিড নিক্ষেপকারী ঐ ব্যক্তি হাত দিয়ে আমাদের গাড়ির কাঁচে আঘাত করে। আমি তার কথা শুনতে গাড়ীর কাঁচ নামাতেই সে আমাদেরকে লক্ষ্য করে কিছু নিক্ষেপ করে। প্রথম পানি ভাবলেও আমাদের পোশাক, জুতা ও গাড়ীর সিট গলে যাওয়ার পর যখন আমাদের শরীরে জ্বালা-পোড়া শুরু হয় তখন বুঝতে পারি সেটা ছিল এসিড’।
এসিড নিক্ষেপ করে ঐ ব্যক্তি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ সময় এসিড দগ্ধ ঐ দম্পত্তির চিৎকারে আশেপাশের জনগণ এগিয়ে আসে। তারা হতভাগ্য ঐ মুসলিম দম্পত্তির শরীরে জ্বালা কমাতে পানি ঢালতে শুরু করে এবং তাদেরকে অর্ধমৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায়।
২ দিন অজ্ঞান থাকা জামিল বলেন, আমার পেট, গলা, কান, পিঠ ও হাত ঝলসে গেছে। হয়তবা বহুবার প্লাস্টিক সার্জারীর পর এ ব্যাথ্যা সামান্য উপশম হবে।
যুদ্ধবিরোধী জোটের নির্বাহী পরিচালক লিন্ডসি জার্মান এ সম্পর্কে জানিয়েছেন: ব্রিটেনে ইসলামভীতি ও মুসলমানদের উপর হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে।
হামলার ঘটনার পর পুলিশ এসিড নিক্ষেপকারী জন থামলিন (২৪) এর ছবি প্রকাশ করলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে আটক করা হয়নি।
জামিল বলেন: আমরা মনে হয় ইসলাম বিদ্বেষের কারণে আমাদের উপর এ হামলা চালানো হয়েছে। হয়তবা সে মুসলমানদেরকে ঘৃণা করতো। যদি আমার মত কোন এশিয় কোন শ্বেত দম্পতির উপর এসিড নিক্ষেপ করতো তবে অনতিবিলম্বে সারা ব্রিটেন জুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে কথাবার্তা শুরু হয়ে যেত।
মিডলসেক্স মেডিকেল কলেজ এ্যান্ড হাসপাতালের ক্রিমিনালজি’র গবেষকদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, গত বছর ৪৫০টি এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে, যা ২০১৫ সালের দ্বিগুন।
ঐ মুসলিম দম্পতি’র অপারেশনের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক জানিয়েছেন, এসিডে ঝলসে সৃষ্ট ক্ষত সেরে উঠতে কয়েক মাস সময় লাগবে। কিন্তু সারা জীবন এ ঝলসানো দাগ তাদেরকে বয়ে বেড়াতে হবে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানদের উপর হামলা লক্ষ্যণীয় হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার শিকার হচ্ছে নিরীহ ও নিরাপরাধ মুসলমানরা।#





এসিড নিক্ষেপকারী
