আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ১৩ রজব আমিরুল মু’মিনীন হজরত আলী (আ.) এর পবিত্র জন্মবার্ষিকী। সূচনা লঘ্ন থেকে তার শ্রেষ্ঠত্ব, উত্তম গুণাবলী, ইসলামে প্রতিষ্ঠা ও রক্ষায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়গুলো ধামাচাপা দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হয়েছে এবং হচ্ছে। ইসলামের প্রথম যুগ থেকে একদল স্বার্থান্বেষী সবসময় হজরত আলী (কা.)-এর ব্যক্তিত্বকে সাধারণ মুসলমানদের সামনে খাটো করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। এখনও তাদের উত্তরসূরীরা সেই ধারাই অব্যাহত রেখেছে।
পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াত তার প্রশংসা এবং তার কাজের সমর্থনে অবতীর্ণ হয়েছে। তার সম্পর্কে বহু হাদিস মহানবি (স.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। যেগুলো দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট।
এ নিবন্ধে কতিপয় মুসলিম মনিষী যারা সকলেই আহলুস সুন্নাহ’র অন্তর্ভুক্ত এবং কতিপয় অমুসলিম পণ্ডিতের মতামত তুলে ধরেছি।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)
সনামধন্য মুফাসসির আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.), হজরত আলী (আ.) এর জ্ঞানের পরিমাণের তুলনায় সকল সাহাবি এবং তাঁর নিজের জ্ঞানের পরিমাণকে মহাসমুদ্রের তুলনায় ফোঁটা পানির ন্যায় মনে করেন। তিনি আরও বলেন: মহান আল্লাহ্ বহু স্থানে আল্লাহর রাসুল (স.) এর সাহাবিদেরকে ভর্ৎসনা করলেও আলী (কা.) সম্পর্কে প্রশংসা করেছেন। ১২
ফাখরে রাজি
বিশিষ্ট আলেম ও পবিত্র কুরআনের মুফাসসির ফাখরে রাজি (রহ.) বলেন: যে ব্যক্তি আলী ইবনে আবি তালিবকে নিজের নেতা হিসেবে মেনে নেবে সে সফলকাম হবে। কেননা মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (স.) হজরত আলী (ক.) জন্য এভাবে দোয়া করেছেন যে,((اللّهُمَّ أدر الحقَّ مع علیٍّ حیث دار)) হে আল্লাহ! আলী যেদিকে যায় হক্বের মোড়কে তুমি সেদিকে ঘুরিয়ে দিও।
খাওয়ারাজমি
বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও খতিব খাওয়ারাজমি বলেন: আবু তুরাব তথা (আলী ইবনে আবি তালিব)-এর ন্যায় কোন সাহসী পুরুষ রয়েছে কি? তার মত পবিত্র কোন নেতা কি পৃথিবীর বুকে রয়েছেন? আলী হলেন সেই ব্যক্তি যিনি রাতগুলো মেহরাবে মোনাজাতে ক্রন্দনের মাঝে কাটাতেন এবং দিনের বেলায় হাস্যোজ্বল মুখে যুদ্ধের ময়দানে ওঠা ধুলোবালিতে মিশে একাকার হয়ে যেতেন। তিনি বাইতুল মালের চকচকে অর্থ হতে উপকৃত হতেন না। তিনিই ছিলেন মূর্তি ধ্বংসকারী; যখন তিনি আল্লাহর রাসুলের কাঁধের উপর পা রাখলেন তখন মনে হচ্ছিল যেন সকল মানুষ চামড়ার সদৃশ্য এবং মগজ হচ্ছে আমাদের মাওলা আলী।
যেমাখশারী
আরেক মুসলিম আলেম ও সাহিত্যিক যেমাখশারী হযরত আলী (আ.) এর ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে বলেছেন: তাঁর সম্পর্কে কি বলবো, যার শত্রুরা হিংসা ও বিদ্বেষের কারণে তার শ্রেষ্ঠত্বকে অস্বীকার করেছে এবং যার বন্ধুরা জীবন বাঁচানোর তাগিদে। এরপরও তার শ্রেষ্ঠত্ব ও প্রশংসার প্রসার এতটাই ঘটেছে যে, পূর্ব এবং পশ্চিমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।
এছাড়া যেমাখশারি হজরত আলী (আ.) সম্পর্কে একটি হাদিসে কুদসি উল্লেখ করেন: ((من اَحَبَّ علیا اُدخِلُهُ الجنةَ وَ اِن عصانی، و مَن ابغض علیا اُدخِلُهُ النارَ و اِن اطاعَنی)) মহান আল্লাহ্ বলেছেন: যে ব্যক্তি আলীকে ভালবাসবে আমি তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাব যদিও সে আমার নাফরমানী করে থাকে। আর যে ব্যক্তি আলীর সাথে শত্রুতা রাখবে আমি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবো যদিও সে আমার আনুগত্য করে থাকে।
এখানে বলার অবকাশ থাকে না যে, হজরত ইমাম আলী (আ.) এর প্রতি ভালবাসা এবং তার বেলায়েতকে গ্রহণ করা ঈমান পূর্ণ হওয়ার কারণ স্বরূপ। আর ঈমান পরিপূর্ণতা পেলে ধর্মের শাখা-প্রশাখায় কিঞ্চিত নাফরমানি ঈমানকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে না। কিন্তু কারো মাঝে তার বেলায়াত ও ভালবাসার অনুসপস্থিতি তার ঈমান ত্রুটিযুক্ত হওয়ার কারণ। এ কারণেই যার মাঝে এগুলো নেই সে জাহান্নামের হক্বদার।
জাহেয
বিশিষ্ট সাহিত্যিক জাহেজ বলেন: আলী (আ.) সম্পর্কে কথা বলা কষ্টসাধ্য। কেননা যদি তার প্রকৃত হক আদায় করতে যাওয়া হয় তবে তা গুলু বা অতিরঞ্জনে পরিণত হয় আর যদি তার প্রকৃত অধিকার আদায় না করা হয় তবে তা তার উপর জুলুম বলে গণ্য হয়।
বায়হাকি
বিশিষ্ট আলেম বায়হাকি বলেছেন:
من احب ان ینظر الی آدم(ع) فی علمه و الی نوح(ع) فی تقواه و ابراهیم(ع) فی حلمه و الی موسی فی عبادته فلینظر الی علی بن ابی طالب(ع)
যদি কেউ আদমের জ্ঞান, নুহের তাকওয়া, ইব্রাহিমের হিলম এবং মুসার ইবাদতকে অবলোকন করতে চায় তার উচিত আলী ইবনে আবি তালিবকে অবলোকন করা।
উল্লিখিত রেওয়ায়েতে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে যে, হজরত আলী (আ.) উলুল আজম নবিগণ (আ.) এর সকল বিশেষ বৈশিষ্টের অধিকারী। সা’সায়াহ ইবনে সুহান থেকে বর্ণিত এক রেওয়ায়েতে হজরত আলী (আ.) নিজেই এ বাস্তবতার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন: “যদিও নিজের প্রশংসা করা পছন্দনীয় কর্ম নয় কিন্তু মহান আল্লাহ্ আমাকে যে নেয়ামত দান করেছেন তা স্মরণ করে বলতে চাই, আমি ইব্রাহিম, আদম, নুহ, সুলায়মান… (আ.) তাঁদের সকলের উপর শ্রেষ্ঠত্ব রাখি।
ইমাম মুহাম্মাদ গাজ্জালী
বাস্তবতা ছিল স্পষ্ট এবং মুসলমানরা ((مَنْ کُنْتُ مَوْلاهُ فَعَلِیُّ مَوْلاهُ)) অর্থাৎ আমি যার অভিভাবক আলীও তার অভিভাবক” –এ হাদিসে গাদ্বীরের উপর মুসলমানরা ঐকমত্য পোষণ করতো। এমন অনেক ব্যক্তি সেদিন তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন যারা পরবর্তীতে (তার স্থলে) খেলাফতে বসেছেন। পরবর্তীতে তারা দুনিয়ার মোহ ও পদের লোভে এবং খলিফার প্রতি মানুষের কুর্ণিশ দেখে তাঁর বিরোধিতা শুরু করেন এবং অতি ক্ষুদ্র বিনিময়ের মাধ্যমে এ বাস্তবতাকে বিক্রি করে দেন।
ড. ত্বহা হুসাইন
সুন্নি লেখক ও সাহিত্যিক ড. ত্বহা হুসাইন তার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ আলী ওয়া বানুহ’তে লিখেছেন: আলী, জনগণ এবং সমাজের অধিকার আদায় না করা পর্যন্ত, নামায আদায় না করা পর্যন্ত, কথা ও কাজের মাধ্যমে জনগণকে তা শিক্ষা দান না করা পর্যন্ত, অভাবীদের কাছে রাতের খাবার পৌঁছে না দেয়া পর্যন্ত এবং দুস্থকে তার চাহিদা পূরণ না করা পর্যন্ত সন্তুষ্ট হতেন না। এ সকল গুরু দায়িত্ব পালনের পর তিনি নিজের সৃষ্টিকর্তা মা’বুদের সাথে একাকি মুনাজাতে বসতেন; নামায পড়তেন এবং ইবাদত করতেন। এরপর সামান্য বিশ্রাম করে পূনরায় মসজিদের দিকে রওয়ানা হতে এবং জনগণকে নামাযের দিকে আহবান জানাতেন। আলী একটি মুহূর্তের জন্যও মহান আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে থাকতেন না।… আলী কাজের মাধ্যমে জনগণকে উপদেশ দিতেন। হ্যাঁ তিনিই ছিলেন জনগণের ইমাম, নেতা এবং তাদের প্রকৃত শিক্ষক।
তিনি তার ঐ গ্রন্থে জামালের যুদ্ধে সংশয়ের মুখে পড়া এক ব্যক্তির ঘটনা উল্লেখ করেছেন। জামালের যুদ্ধের সময় জনৈক ব্যক্তি নিজেকে বলে: এটা কিভাবে সম্ভব তালহা এবং যুবায়েরের মত ব্যক্তিত্ব ভুল পথে থাকবেন? তিনি নিজের মনে আগত এ কথাগুলো হজরত আলী (আ.) কে বললেন।
হজরত আলী (আ.) তাকে বললেন:
انَّک لَملبوس علیک، إنَّ الحقَّ و الباطل لایعرفان بأقدار الرجال، إعرف الحقَّ تَعرف أهله و اعرف الباطل تعرِف اهله
তুমি চরম ভুলের মাঝে রয়েছো! নিশ্চয়ই হক ও বাতিলকে এর ধারণকারী ব্যক্তিদের মাধ্যমে চেনা সম্ভব নয়। বরং প্রথমে হককে চেনো তাহলে আহলে হক তথা হক ধারণকারীদেরকেও চিনতে পারবে এবং বাতিলকে চেনো তাহলে আহলে বাতিলকেও চিনতে পারবে। তখন তোমার জন্য এটা অর্থ রাখবে না যে, কে হকপন্থী এবং কে বাতিল পন্থী। আর ঐ ব্যক্তিত্বদের ভুল পথে গমনের বিষয়টিও তোমার জন্য কোন গুরুত্ব রাখবে না।
ত্বহা হুসাইন ঐ ঘটনার ধারাবাহিকতায় লিখেছেন: ওহি তথা মহান আল্লাহর কালামের পর এরচেয়ে অর্থবহ উত্তর আমি আর কোথাও পড়িনি ও শুনিনি।
অমুসলিমদের দৃষ্টিতে ইমাম আলী (আ.)
মুসলিম মনীষীদের পাশা হজরত আলী (আ.) এর শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে অমুসলিম ও প্রাচ্যবিদগণও বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন যার কয়েকটি আমরা এখানে উল্লেখ করবো।
চলুন দেখে নেয়া যাক হজরত আলী (আ.) সম্পর্কে কতিপয় অমুসলিম পণ্ডিতের মন্তব্য।
বিশিষ্ট ব্রিটিশ পণ্ডিত ডোনাল্ডসন, পবিত্র কুরআনের উপর হজরত আলী (আ.) জ্ঞানের ব্যাপকতা এবং মহানবি (স.) এর সাথে তাঁর জ্ঞান সম্পর্কিত সম্পর্কের বিষয়ে বলেছেন: ইলমি দিক থেকে কুরআনের প্রতি আলীর বিস্তৃীর্ণ জ্ঞান ছিল। যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হত কিভাবে অন্য সাহাবিদের তুলনায় আপনি নবির হাদিসের উপর অধিক পরিচিতি পেয়েছেন? তিনি জবাবে বলতেন: যখনই আমি আল্লাহর রাসুলকে কোন প্রশ্ন করতাম তিনি আমার প্রশ্নের জবাব দিতেন। আর যখন আমি নিরব থাকতাম তখন তিনি বলতেন।
জর্জ জোরদাক
খ্রিষ্টান লেখক ও গবেষক জর্জ জোরদাক হজরত আলী (আ.) এর প্রশংসায় দীর্ঘ একটি প্রবন্ধে লিখেছেন: হে প্রভু! কতই না ভাল হত যদি তুমি তোমার অসীম ক্ষমতাবলে প্রতিটি যুগে আলীর মত একজন ব্যক্তিকে বুদ্ধিবৃত্তি, অন্তর, ভাষা এবং যুলফিকার দিয়ে পৃথিবীকে দান করতে।
জর্জি যাইদান
আলী কি নবির চাচাতো ভাই, স্থলাভিষিক্ত ও তারা জামাতা ছিলেন না? তিনি কি আলেম, তাকওয়াবান ও ন্যায় পরায়ণ ছিলেন না?! তিনি কি সেই একনিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন না যার সাহসিকতায় ইসলাম এবং মুসলমানরা সম্মানিত হয়েছিল?
তিনি আরও বলেন: মুয়াবিয়া এবং তার শুভাকাঙ্খীরা নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছুতে যে কোন মাধ্যমকেই ব্যবহার করতে দ্বিধা করতো না। কিন্তু আলী ও তাঁর সাথীরা কখনই সত্য পথ থেকে বিচ্যুত হয়নি এবং সত্যের রক্ষা থেকে কখনই তারা সরে দাঁড়ায় নি।
মিখাইল নাঈমাহ বলেছেন: যতই প্রতিভার অধিকারী হোক না কেন, কোন লেখক বা ঐতিহাসিকই আলীর মত মহান নেতার জীবনী চিত্রায়িত করতে সক্ষম নয়, এমনকি তা যদি হাজার পৃষ্ঠার একটি গ্রন্থও হয়ে থাকে।
মহান প্রতিপালকের সাথে তাঁর কথোপথন এবং আচরণে যা কিছু তিনি দেখিয়েছেন তার উদাহরণ না কোন কান শুনেছে আর না কোন চোখ দেখেছে। তার কথা এবং কাজের মহত্ব এর অনেক উর্ধ্বে যে হাত, ভাষা এবং কলমের মাধ্যমে প্রকাশ এবং ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
বিশিষ্ট পণ্ডিত ড. পুলোস সালামাহ বলেন: হ্যাঁ, আমি একজন খ্রিষ্টান। কিন্তু আমি উদার এবং সংকীর্ণ মনা নই। আমি একজন খ্রিষ্টান যে, এমন এক মহান ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে কথা বলছে মুসলমানরা যার সম্পর্কে বলে: রাজিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু তথা আল্লাহ্ তার উপর সন্তুষ্ট…
বিচারকার্যে আলী কখন বৈষম্য রাখতেন না। বিচারের সময় সবাই তার কাছে ছিল সমান। তিনি প্রাপ্য অনুযায়ী রায় দিতেন এবং গোলাম ও মনিবের মাঝে কোন পার্থক্য রাখতেন না।
আলী এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছেন যে, একজন পণ্ডিত তাকে জ্ঞান ও সাহিত্যের আকাশে জ্বলজ্বলে নক্ষত্র বলে মনে করে, একজন লেখক তার লেখন পদ্ধতিকে অনুকরণ করে এবং একজন ফকীহ সর্বদা তার গবেষণার উপর আস্থা রাখে।
বিশিষ্ট খ্রিষ্টান ঐতিহাসিক ও পণ্ডিত আবুল ফারজ আহরুন যিনি ইবনুল ইব্রি নামেও পরিচিত তিনি ইমাম আলী (আ.) এর শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরতে যেয়ে এভাবে বলেন: খলিফাদের যুগে আলী, মহানবি’র এর শূণ্যতা পূরণ করেছেন। মহানবির পর আকিদাগত সংগ্রামের গুরু দায়িত্ব তার কাঁধে ছিল। তাঁর বিভিন্ন দলীল প্রণয়ন এবং বিতর্ক ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। মহানবি (স.) এর বিয়োগান্তে যে শূণ্যতা মুসলমানদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছিল সেগুলো তাঁর মাধ্যমে পূরণ হত। এ ধরণের বিষয় শিয়া এবং সুন্নি উভয়ের বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে। এর মধ্যমে সবচেয়ে উজ্বল নমুনা হচ্ছে উমরের উক্তি তিনি বলেছিলেন ((لو لا علیٌّ لهلک)) যদি আলী না থাকত তবে উমার ধ্বংস হয়ে যেত। যে উক্তিটি ইতিহাসের বিভিন্ন গ্রন্থে অন্তত ৭০ বার উল্লিখত হয়েছে।
মহানবি (স.) এর একটি প্রসিদ্ধ হাদিস দিয়ে আজকের এ ভিডিও শেষ করতে চাই যা মানাকেবে ইবনে শাহরে আশুবের ৩য় খণ্ডের ২৬৮ নং পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে। তিনি (স.) বলেছেন: হে আলী, আমি ও তুমি ব্যতীত আল্লাহকে কেউ চিনতে পারেনি, আল্লাহ ও তুমি ব্যতীত আমাকে কেউ চিনতে পারেনি এবং আল্লাহ ও আমি ব্যতীত তোমাকে কেউ চিনতে পারেনি।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্ত। ভিডিওটি ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভাল থাকবেন, ভাল রাখবেন। সবাইকে পবিত্র এ দিনে আন্তরিক মোবারকবাদ দিয়ে বিদায় নিচ্ছি ওয়াস সালামু আলাইকুম।#