আবনা ডেস্ক: জঙ্গি সংগঠন দায়েশের (আইএসআইএস) দাসত্ব থেকে পালিয়ে আসা এক নারী মারিয়াম। তিনি চার বছর দায়েশের (আইএসআইএস) হাতে বন্দি ছিলেন। চার বছরের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন মারিয়াম।
মারিয়াম বলেন, দায়েশের হাতে বন্দী থাকার সময় মানসিক সমস্যা তৈরি হয় আমার। তারা আমার শরীরে বিস্ফোরক লাগানো একটি আত্মঘাতী পোশাক পড়ায়। তারপর বলে ট্রিগার চেপে দিতে।
মারিয়াম বলেন, আইএসআইএস যখন আমাকে বন্দী করে তখন আমার বয়স ছিল ১২ বছর। আমাকে আটজনের কাছে বিক্রি করা হয়। কিন্তু তাদের মধ্যে তিনজন আমাকে ধর্ষণ করত, বাকিরা আমাকে দাসী হিসেবে ব্যবহার করত।
ধরা পড়ার আগে আমার কথা বলতে কোনো সমস্যা হতো না। বন্দী থাকা অবস্থাতে এই সমস্যা শুরু হয়।
মারিয়াম বলেন, আমি বহুবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পরবর্তীতে মায়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি।
বন্দী থাকা অবস্থায় মায়ের সঙ্গে একবার আমার দেখা করার সুযোগ হয়েছিল। তখন মাকে প্রতিশ্রুতি দেই যে আত্মহত্যার চেষ্টা করবো না, বলেন মারিয়াম।
মারিয়াম ও তার মায়ের সাথে হওয়া ভয়াবহ ঘটনার স্মৃতি এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় মারিয়ামের বাবাকে।
মারিয়ামের বাবা বলেন, এমন যদি হতো যে আমার মৃত্যু হলে মারিয়ামের মা ফিরে আসত, তাহলে সে মৃত্যুই ভালো হতো আমার জন্য।
তিনি বলেন, মারিয়ামকে আমি বলি যেন ঐ সময়ের (বন্দী থাকাকালীন সময়ের) স্মৃতি ভুলে যায়। সেসব স্মৃতি যত মনে করবে, ততই মানসিক কষ্ট বাড়বে।
তবে বাবার সেসব কথা মারিয়ামের অতীতের দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে সাহায্য করে না।
২০১৪ সালে ইরাকের ইয়াজিদি গ্রামগুলোর দখল নেয় আইএসআইএস জঙ্গিরা। সে সময় ৬ হাজারের বেশি নারী ও শিশুকে বন্দী করে তারা- যাদের মধ্যে ছিল মারিয়াম ও তার মা।
মারিয়াম পালিয়ে আসতে পারলেও তার মায়ের এখনো কোনো খোঁজ নেই।#
১৩ মে ২০১৯ - ০৬:১৭
News ID: 940999

আমাকে আটজনের কাছে বিক্রি করা হয়। কিন্তু তাদের মধ্যে তিনজন আমাকে ধর্ষণ করত, বাকিরা আমাকে দাসী হিসেবে ব্যবহার করত।