‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Pars Today
রবিবার

৩০ জুন ২০১৯

৬:৪৭:৫৮ AM
956113

লিবিয়ায় তুরস্কের স্বার্থে আঘাত হানার নির্দেশ দিলেন জেনারেল হাফতার

লিবিয়ার বিদ্রোহী সেনা কমান্ডার খলিফা হাফতার উত্তর আফ্রিকার এ দেশটিতে তুর্কি জাহাজ’সহ তুরস্কের অন্যান্য স্বার্থে আঘাত হানতে তার বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে। হাফতারের মুখপাত্র জেনারেল আহমাদ আল-মেসমারি শুক্রবার একথা জানিয়ে বলেছেন, লিবিয়ার চলমান সংঘর্ষে তুরস্ক হাফতারের বিরোধী পক্ষকে সমর্থন দেয়ায় এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

(ABNA24.com) লিবিয়ার বিদ্রোহী সেনা কমান্ডার খলিফা হাফতার উত্তর আফ্রিকার এ দেশটিতে তুর্কি জাহাজ’সহ তুরস্কের অন্যান্য স্বার্থে আঘাত হানতে তার বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে। হাফতারের মুখপাত্র জেনারেল আহমাদ আল-মেসমারি শুক্রবার একথা জানিয়ে বলেছেন, লিবিয়ার চলমান সংঘর্ষে তুরস্ক হাফতারের বিরোধী পক্ষকে সমর্থন দেয়ায় এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জেনারেল মেসমারি বলেন, “লিবিয়ার পানিসীমায় অবস্থানরত তুরস্কের জাহাজ ও নৌকায় হামলা চালানোর জন্য বিমান বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।” তিনি বলেন, এ ছাড়া, লিবিয়ায় তুরস্কের কৌশলগত বিভিন্ন স্থাপনা, কোম্পানি ও প্রকল্পও হামলার আওতায় থাকবে।

জেনারেল হাফতারের এই মুখপাত্র জানান, তুরস্ক থেকে আসা যেকোনো বিমান রাজধানী ত্রিপোলিতে অবতরণের চেষ্টা করলে তাকে শত্রু  বিমান হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এ ছাড়া, লিবিয়ায় তুর্কি সেনা উপস্থিতিকেও ‘শত্রুসেনা’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে তিনি জানান। তবে তুরস্ক লিবিয়ায় সেনা পাঠিয়েছে কিনা বা পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে কিনা সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানাননি।

লিবিয়ার চলমান সংঘর্ষে রাজধানী ত্রিপোলি-ভিত্তিক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছে তুরস্ক। গত বুধবার রাজধানী দখলের অভিযানে ব্যস্ত হাফতার বাহিনীকে বড় ধরনের পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছে ত্রিপোলি সরকার।  

ত্রিপোলির জাতিসংঘ-স্বীকৃত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফাইয়াজ আস-সেরাজের প্রতি সামরিক সহযোগিতা দিচ্ছে তুরস্ক। সম্প্রতি সেরাজ সরকারকে ড্রোন ও ট্রাকের চালান দিয়েছে আঙ্কারা। অন্যদিকে পূর্বাঞ্চলীয় বেনগাজি-ভিত্তিক হাফতার বাহিনীকে সমর্থন জানাচ্ছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর।

তিন মাস আগে জেনারেল হাফতার ঘোষণা দিয়ে বেনগাজি থেকে ত্রিপোলি দখলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। তবে তিনি এখন পর্যন্ত ত্রিপোলি দখলে নিতে পারেননি যদিও রাজধানীর কোনো কোনো এলাকায় মাঝেমধ্যে তার বাহিনী ঢুকে পড়ছে।

২০১১ সালে লিবিয়ার সাবেক একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর দেশটিতে ক্ষমতার শূন্যতা সৃষ্টি হয়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত একটি স্থিতিশীল ও সর্বজনগ্রাহ্য সরকার প্রতিষ্টার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। #



/129