এর আগে, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চারদিনের যুদ্ধবিরতি আরো দুই দিন বাড়ানো হয়। সেই বর্ধিত দু’দিনের প্রথম দিনে গতরাতে দু’পক্ষের এসব বন্দি মুক্তি লাভ করে। এ নিয়ে হামাস এখন পর্যন্ত তাদের হাতে থাকা ৮১ জন বন্দিকে মুক্তি দিল। অন্যদিকে এর বিনিময়ে ইসরাইল মুক্তি দিয়েছে ১৮০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলি সেনাদের পাশবিক বিমান হামলা বন্ধ রয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতির আগ পর্যন্ত ইহুদিবাদীর হামলায় ১৫,৫০০ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। গত শুক্রবার হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন শুরু হয় যা মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত বলবত থাকার কথা ছিল। কিন্তু ওই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা আরো দু’দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর সদস্য খলিল আল-হাইয়্যা বলেছেন, এই যুদ্ধবিরতি দীর্ঘকালের জন্য নবায়ন করা হবে বলে তিনি আশা করছেন।
তবে ইহুদিবাদী ইসরাইল কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর আবার ‘পূর্ণ মাত্রায়’ গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু হবে এবং হামাস ‘নিশ্চিহ্ন’ না হওয়া পর্যন্ত তা চলবে। তবে হামাস বলেছে, তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না বরং গাজাবাসী তাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে।#
342/