গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরাইলের হামলার নতুন ধারার দ্বিতীয় দিনও অব্যাহত রয়েছে,যার ফলে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি শহীদ এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
মেহের সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো আজ সকালে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এবং রাফাহতে দখলদার ইসরাইলের হামলায় ১০ জন শহীদ হওয়ার খবর দিয়েছে। দক্ষিণ গাজা শহরের সাবরা পাড়ায় একটি বাড়িতেও বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরাইলের যুদ্ধবিমানগুলো গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত আল-বুরেইজ ক্যাম্পেও বোমা হামলা চালায়। ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো মধ্য গাজার আল-মুঘরাকাকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে। গাজা শহরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং আল-জায়তুন পাড়ায়ও ইসরাইলি যুদ্ধবিমান বোমা হামলা চালিয়েছে।
ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত আল-বুরেইজ ক্যাম্পেও বোমা হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো মধ্য গাজার আল-মুঘরাকাকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে। গাজা শহরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং আল-জায়তুন পাড়ায়ও ইসরাইলি যুদ্ধবিমান বোমা হামলা চালিয়েছে।
দক্ষিণ গাজা শহরের সাবরা পাড়ায় একটি বাড়িতে বোমা হামলায় তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো খান ইউনিসের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি পাড়ায় বেশ কয়েকবার বোমা হামলা চালিয়েছে।
ইসরাইলি হেলিকপ্টারগুলো গাজা শহরের দক্ষিণাঞ্চলের দিকেও গুলি চালিয়েছে। ইসরাইলি হেলিকপ্টারগুলো দক্ষিণ গাজার রাফা শহরের পূর্বে আল-জুনাইনা পাড়াকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে।
ইসরাইলি কামানগুলো মধ্য গাজার আল-বুরেইজ ক্যাম্পের উত্তর-পূর্বে গোলাবর্ষণ করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব গাজার পূর্ব হাজার আল-দিকেও ইসরাইলি কামান থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। পূর্ব গাজা শহরের আল-তুফাহ পাড়ায়ও বোমা হামলা চালানো হয়।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এবং আল-মুহাররাত এলাকায় চারটি তাঁবুতে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো পূর্ব গাজা শহরের শুজাইয়া পাড়ায় ইহুদিবাদীদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
এছাড়াও, অন্য একটি খবরে, হামাস আন্দোলনের একজন নেতা তাহের আল-নুনু বলেছেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কোনও চুক্তি চাননি এবং যুদ্ধবিরতির সময় চুক্তির ধারাগুলো বাস্তবায়ন এড়াতে চেষ্টা করেছিলেন।
ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনার উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে আরো জানিয়েছে তিনি আরও বলেন: "নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করে তার মন্ত্রিসভা টিকিয়ে রাখতে চান।"
আল-মায়াদিনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "দখলদার শাসকগোষ্ঠী যুদ্ধবিরতি আলোচনার দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশের বিরোধিতা করেছিল এবং প্রথম ধাপের ধারাগুলো বাস্তবায়ন করেনি।" যদিও হামাস বন্দী বিষয়ক মার্কিন প্রতিনিধি অ্যাডাম বুয়েলারের পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছিল এবং এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভেন হুইটকের প্রস্তাবও বিবেচনায় নিয়েছিল। তাহের আল-নুনু বলেন: "নেতানিয়াহু সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য দখলদার শাসকগোষ্ঠী আলোচনায় নাশকতা করার চেষ্টা করছে।"
মার্কিন সরকারের অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন: "ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন দখলদার সরকারের পক্ষে একজন প্রতিরক্ষা আইনজীবী হিসেবে তার কার্যক্রম শুরু করে এবং বিশেষ করে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব এবং অস্ত্র সহায়তার মাধ্যমে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞে তারাও সমান অংশীদার।"
তিনি জোর দিয়ে বলেন: "ইহুদিবাদী শত্রুরা কখনোই তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না অথবা চুক্তি ছাড়া তাদের একজন বন্দীকেও ফিরিয়ে দিতে পারবে না।" ইসরাইলি বন্দীদের বিষয়েও কোনও নিশ্চয়তা নেই এবং বোমা হামলা ও অব্যাহত আগ্রাসনে তাদের মৃত্যু হতে পারে।
মঙ্গলবার সকালে ইসরাইলি সরকার গাজা উপত্যকায় পুনরায় হামলা শুরু করার পর এই বিবৃতিগুলি এসেছে যার ফলে ১৯ জানুয়ারী মিশর, কাতার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় নতুন করে ইসরাইলি হামলায় ৪১২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ৫০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।#
342/
Your Comment