২০ মার্চ ২০২৫ - ১৯:৫৮
Source: Parstoday
গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি ভয়াবহ, ফুরিয়ে আসছে সাহায্য

পার্সটুডে-ফিলিস্তিনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলি বর্বর সেনারা ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজায় স্থল আক্রমণ শুরু করে দাবি করেছে যে তারা গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় 'নেতজারিম' এলাকা দখল করেছে। বার্তা সংস্থা ইরনা'র বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা উপত্যকার কেন্দ্রস্থলে সীমিত স্থল অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানের লক্ষ্য হল প্রতিরক্ষামূলক অঞ্চল সম্প্রসারণ করা এবং গাজা উপত্যকার উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে একটি রেখা তৈরি করা।

গাজায় শহীদের সংখ্যা বৃদ্ধি: হামাস

গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদীদের সর্বশেষ অভিযানে খান ইউনূসের পূর্বের আবাসিক এলাকায় বিমান হামলাও চালিয়েছে। বর্বর ইসরাইলিদের ওই হামলায় ১০ জন ফিলিস্তিনি  শহীদ হয়েছে এবং আরও অনেক আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম আরও জানিয়েছে যে গতকাল (বুধবার) দখলদার সেনাদের যুদ্ধবিমানগুলো বেইত লাহিয়ার 'আল-সালাতিন' এলাকায় একটি শোক অনুষ্ঠানে হামলা চালায়। ওই হামলায় ১৬ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হন এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। এছাড়াও, খান ইউনূসের উত্তর-পশ্চিমে একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলায় এক শিশুসহ চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজা উপত্যকার সিভিল ডিফেন্স অর্গানাইজেশন আরও জানিয়েছে, বুধবারের ইহুদিবাদী দখলদারদের হামলায় ৭০ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এ নিয়ে বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি শহীদের সংখ্যা ৪৭০ জনে দাঁড়িয়েছে।

গাজা পরিস্থিতি ভয়াবহ, ফুরিয়ে আসছে সাহায্য

অন্যদিকে, গাজায় জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিসের একজন মুখপাত্র বুধবার ঘোষণা করেছেন, ২ সপ্তাহরও বেশি সময় ধরে কোনও সাহায্য ওই অঞ্চলে প্রবেশ করে নি। জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন: ক্রসিং পয়েন্টগুলো বন্ধ থাকায় মানবিক সাহায্য সরবরাহ শেষ হয়ে যাচ্ছে। গাজার বাসিন্দারা 'ভয়াবহ' পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে তিনি সতর্ক করেন।

গাজায় যুদ্ধবিরতি পালন এবং বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার ওপর জাতিসংঘের গুরুত্বারোপ

জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক গতকাল (বুধবার) বলেছেন যে, অধিকৃত ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের দুটি গেস্ট হাউজে ইসরাইলি হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আবারও গাজায় জনদুর্ভোগের অবসান ঘটানো, মানবিক সহায়তা প্রদান করা এবং বন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির জন্য যুদ্ধবিরতি পালনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় এই সংস্থার ২৮০ কর্মী নিহত হয়েছেন।

গাজায় জাতিসংঘের অফিসে বোমা হামলার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার আহ্বান হামাসের

ফিলিস্তিনি ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন 'হামাস' আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, জাতিসংঘের কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর মতো ইহুদিবাদী অপরাধের বিরুদ্ধে এই সংস্থা যেন একটি স্পষ্ট এবং সিদ্ধান্তমূলক অবস্থান নেয়। এক বিবৃতিতে হামাস আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কর্মীদের ওপর হামলা করার ঘটনাকে গণহত্যার যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান বিপদ হিসাবে বর্ণনা করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মারাত্মক নীরবতার কারণে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইল ওই অপরাধযজ্ঞ চালাতে পারছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।#

342/

Your Comment

You are replying to: .
captcha