পার্সটুডে জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাইম কাসেম শুক্রবার রাতে এক বক্তৃতায় বলেছেন যে, (ইসরাইল সীমান্তবর্তী) লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তের প্রতিরোধ ইসরাইলকে থামিয়ে দিয়েছে এবং ইসরাইলকে তার লক্ষ্য অর্জনে বাধা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন: হিজবুল্লাহ ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অগ্রাভিযান থামিয়ে দিয়েছিল এবং তাদেরকে এটা মানতে বাধ্য করেছে যদি শক্ত প্রতিরোধ না থাকত, তাহলে ইসরাইল দক্ষিণ লেবাননে আগ্রাসন অব্যাহত রাখত।
লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব আরও বলেন: "আগ্রাসী ইসরাইলি শক্তি শুধু ফিলিস্তিন দখল করেই সন্তুষ্ট নয় বরং তারা লেবাননও দখল করতে চায়।"
হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুরোপুরি মেনে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন: "যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর থেকে ইসরাইল লেবাননে ২,৭০০ বারেরও বেশি আক্রমণ করেছে।"
লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব বলেছেন: "যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতিরোধ শক্তি লেবাননের সেনাবাহিনী ও জনগণের পাশে থাকবে, ততক্ষণ ইহুদিবাদী ইসরাইল তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না।"
শেখ নাইম কাসেমের এই বক্তব্য এমন এক সময় এলো যখন লেবাননের হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের ডেপুটি আলী দাআমোশ শুক্রবার এক বক্তৃতায় জোর দিয়ে বলেন যে লেবাননসহ এই অঞ্চলকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলা ক্যান্সার সমতুল্য ইসরাইলকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
দাআমোশ বলেন: "লেবাননে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতির মূল উদ্দেশ্য হল ইসরাইলকে রক্ষা করা এবং তাদের আধিপত্য সুসংহত করতে ও এই অঞ্চলে তার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করা।"
তিনি আরও বলেন, ইসরাইল ক্রমাগত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে যাচ্ছে এবং লেবাননের নাগরিকদের উপর আগ্রাসন চালাচ্ছে, অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লেবাননের উপর চাপ সৃষ্টি করতে এবং আরো দাবি চাপিয়ে দিতে এই আগ্রাসনকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করছে।
হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের ডেপুটি জোর দিয়ে বলেন যখন ইসরাইলি হুমকি অব্যাহত রয়েছে তখন যারা হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণের দাবি জানাচ্ছে তারা কার্যত শত্রুর লক্ষ্য পূরণ করছে।
তিনি বলেন: "এই সময়ে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করা লেবাননের স্বার্থের বিরুদ্ধে এবং এটি দেশের অবস্থান ও শক্তিকে দুর্বল করে দেবে।"
লেবাননের হিজবুল্লাহর এই কর্মকর্তা আরও বলেন: "আমরা কোনো চাপের দ্বারা প্রভাবিত হব না এবং আমরা এই ধরনের হুমকির কাছে আত্মসমর্পণ করব না।"#
342/
Your Comment