পার্সটুডের মতে, বিশিষ্ট আমেরিকান অর্থনীতিবিদ জেফ্রি স্যাকস এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, 'ট্রাম্প শান্তি চান, কিন্তু এটি কেবল তখনই সম্ভব যদি তিনি নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার চরমপন্থা অনুসরণ না করেন।' আমেরিকার উচিত পশ্চিম এশীয় অঞ্চলে নিজস্ব স্বার্থ অনুসরণ করা, ইসরাইল যা দাবি করে তা নয়।
স্যাকস জোর দিয়ে বলেন, "ইসরাইলিরা কখনোই প্রকৃত কূটনীতিতে বিশ্বাসী ছিল না এবং তারা যুদ্ধে আসক্ত।" নেতানিয়াহুর ইচ্ছা অনুযায়ী পৃথিবী পরিচালিত হতে পারে না। মার্কিন এই অর্থনীতিবিদ পরামর্শ দিয়েছেন যে ট্রাম্প আন্তর্জাতিক সীমানার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তির পথ প্রশস্ত করুক।
এই প্রসঙ্গে স্যাকস বলেন, ট্রাম্প যদি জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ সমর্থন করেন,তাহলে তিনি এই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারবেন। এই আমেরিকান অর্থনীতিবিদ নেতানিয়াহুর প্রতি বাইডেন প্রশাসনের নিঃশর্ত সমর্থনের সমালোচনা করে বলেছেন: "এই নীতি আমেরিকাকে অবিরাম যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে।"
স্যাকস আরও বলেন: যদি নেতানিয়াহু আমেরিকান সামরিক সাহায্যের উপর তার নির্ভরতা কমিয়ে আনেন তাহলে এটি ওয়াশিংটনের পরিবর্তিত নীতি সম্পর্কে তার বোধগম্যতার ইঙ্গিত দেবে। স্যাকস ইসরাইলের সম্প্রসারণবাদ নীতি বন্ধ এবং একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, "একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন ছাড়া, আরবদের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়।"
এই আমেরিকান অর্থনীতিবিদ সিরিয়ার পরিস্থিতি এবং তাহরির আল-শামের নেতা আবু মুহাম্মদ আল-জুলানির সাথে ট্রাম্পের সম্ভাব্য বৈঠকের দিকেও ইঙ্গিত করে বলেছেন, "২০১১ সাল থেকে সিরিয়ার বিশৃঙ্খলা চলে আসছে তার লক্ষ্য দেশটির শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করা।" এর ফলে দেশটিতে ১৪ বছর ধরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে আসছে।
স্যাকস আরও বলেন: "মধ্যপ্রাচ্যের সমস্ত যুদ্ধ আমেরিকার জন্য ধ্বংসাত্মক হয়েছে।" নেতানিয়াহু এবং নব্য-কনদের অনুসরণ করে আমেরিকা সিরিয়ায় এই সংকট তৈরি করেছে।
স্যাক্সের মতে, যুদ্ধবাজ নীতি অব্যাহত রেখে, ইসরায়েল কেবল আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ নয়, বরং আমেরিকান সমর্থন ছাড়া, তারা তাদের পদ্ধতি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে। মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য সক্রিয় কূটনীতি এবং ফিলিস্তিনি অধিকারের প্রতি সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ।#
Your Comment