২৮ মে ২০২৫ - ২০:৩৫
Source: Parstoday
ইসরাইলের সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে বিরোধ বাড়ছে; আন্তর্জাতিক সমর্থনও হ্রাস পাচ্ছে

পার্সটুডে- লেবাননের রাজনীতি ও কৌশল বিষয়ক বিশ্লেষক তালাল আতরিসি গাজা যুদ্ধের বিষয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধের কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আরও একটি বাস্তবতা তুলে ধরেছেন, আর তাহলো- ইহুদিবাদী দখলদারেরা তাদের অপকর্মকে ন্যায্যতা দিতে সব সময় 'ইহুদি বিদ্বেষ' ইস্যুকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এসেছে।

কিন্তু তিনি বলেছেন, পশ্চিমা জনমতের মধ্যে ইহুদি-বিদ্বেষ ইস্যুটি আর আগের মতো প্রভাব রাখছে না। পশ্চিমারা এ বিষয়ে আগের মতো স্পর্শকাতরতা দেখাচ্ছে না।

পার্সটুডে জানিয়েছে, তালাল আতরিসি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে গাজায় ইসরাইলি দখলদারদের গণহত্যাকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেন। এ কারণে নেতানিয়াহুর সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে অসন্তোষ বেড়ে চলেছে।

এই অধ্যাপক আরও বলেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর প্রাক্তন কমান্ডারেরা প্রকাশ্যে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থে সেনাবাহিনীকে অপব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন। এ ধরণের বক্তব্যের পাশাপাশি তাদের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন তথ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে মতপার্থক্য দিনদিনই বাড়ছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, নেতানিয়াহু এখন পর্যন্ত তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন নি। এটি হামাসের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগ্রামের চেষ্টা-প্রচেষ্টার ফসল। হামাসের মতো প্রতিরোধ সংগ্রামীদের সঙ্গে তারা পারছে না, এ কারণে তারা নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল তার অনেক কৌশলগত অর্জন হারিয়েছে এবং পশ্চিম এশিয়ায় তাদের স্বাভাবিক উপস্থিতি সম্পর্কে তারা যে গল্প ও ব্যাখ্যা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিল তা ধ্বংস হয়ে গেছে।

আতরিসি আরও বলেন, দখলদারেরা তাদের নীতিগুলোকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য সর্বদা যে ইহুদি-বিদ্বেষের কথা বলত তা ম্লান হয়ে গেছে এবং জনমত বিশেষকরে পশ্চিমা বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতেও দখলদার নেতাদের শাস্তির দাবি ক্রমেই জোরালো হয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে  দুটি প্রধান লক্ষ্য নিয়ে গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে যুদ্ধাপরাধী নেতানিয়াহু। তাদের এই দুই লক্ষ্যের একটি হলো হামাসকে ধ্বংস করা এবং গাজা ইহুদিবাদী বন্দীদের ফিরিয়ে আনা, কিন্তু তারা এই দুই লক্ষ্যের কোনাটিই অর্জন করতে পারে নি। তারাপ বন্দী বিনিময়ের জন্য হামাসের সাথে চুক্তিতে পৌঁছাতে বাধ্য হয়েছে এবং পরবর্তীতে একতরফাভাবে চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে।#

Your Comment

You are replying to: .
captcha