'সাইয়্যেদ সাত্তার হাশেমি' জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ইরানের ব্যাপক সক্ষমতা বিশেষকরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জ্ঞান হস্তান্তর এবং দক্ষ মানবসম্পদ প্রশিক্ষণের মতো নতুন প্রযুক্তিখাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা'র বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, ইরানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী সাইয়্যেদ সাত্তার হাশেমি বুধবার তেহরানে জাপানের রাষ্ট্রদূত 'ত্সুকাদা তামাকি'র সাথে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি ইরান ও জাপানের মধ্যে বৈজ্ঞানিক ও গবেষণা সহযোগিতার ইতিহাস, বিশেষ করে ইরানের টেলিযোগাযোগ গবেষণা কেন্দ্র (বর্তমান যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট) প্রতিষ্ঠায় জাপানের ভূমিকার কথা স্মরণ করে জ্ঞানভিত্তিক খাতে সম্পর্ক আরও জোরদার করার আহ্বান জানান।
ওই বৈঠকে ইরানের টেলিযোগাযোগমন্ত্রী শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতা বৃদ্ধির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে বলেন, "টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি খাতে জ্ঞান বিনিময় এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা ইরান ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতার একটি মূল স্তম্ভ হতে পারে। আমরা জাপানের সফল অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে এই পথে দেশের বৈজ্ঞানিক সক্ষমতাগুলোও ভাগ করে নিতে প্রস্তুত।"
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে সাইয়্যেদ সাত্তার হাশেমি বলেন, "ইরানের বৈজ্ঞানিক সক্ষমতা সম্পর্কে আপনার গভীর ধারণা এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা জার্নালে ইরানি গবেষণাপত্রগুলোর উচ্চ সাইটেশনের স্বীকৃতি আমাদের দুই দেশের মধ্যে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সম্পর্ক আরও গভীর করতে পারে।"
তেহরানে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ত্সুকাদা তামাকি এই সাক্ষাৎকারে দুই দেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের ইতিহাস উল্লেখ করে ইরানের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, "এই ক্ষেত্রে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা রয়েছে।"
342/
Your Comment