২৮ মে ২০২৫ - ২০:৩৪
Source: Parstoday
'ফিলিস্তিন-২' ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরাইলে ইয়েমেনি হামলা; উড়িয়ে দেওয়া হলো ইসরাইলি সামরিক আস্তানা

পার্সটুডে- ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, দখলদার ইসরাইলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরসহ তেল আবিবের দু'টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।

পার্সটুডে বলছে, ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছেন- মজলুম ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন, গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের চলমান গণহত্যার প্রতিবাদ, আল-আকসা মসজিদে হাজার হাজার ইহুদিবাদীর আক্রমণ ও অবমাননার প্রতিক্রিয়ায় ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট দু'টি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করেছে। প্রথম অভিযানটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র 'ফিলিস্তিন-২' দিয়ে 'বেন গুরিয়ন' বিমানবন্দরে চালানো হয়েছে। দ্বিতীয় অভিযান চালানো হয়েছে তেল আবিবের পূর্ব অংশে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র 'জুলফিকার' দিয়ে তেল আবিবের পূর্ব অংশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আঘাত করা হয়েছে।

গাজার কেন্দ্রস্থলে ইহুদিবাদী ইসরাইলের গোপন সামরিক আস্তানায় বিস্ফোরণ

ফিলিস্তিনের ইসলামী জিহাদ আন্দোলনের সামরিক শাখা 'আল-কুদস ব্রিগেডস' ঘোষণা করেছে, তারা পূর্ব গাজা শহরের শুজাইয়া এলাকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের একটি গোপন সামরিক আস্তানা উড়িয়ে দিয়েছে। আল-কুদস ব্রিগেডস আরও জানিয়েছে, এই বিস্ফোরণের ফলে সেখানে থাকা সব ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়েছেন।

ইসরাইলের বর্বর হামলায় ১৫ ফিলিস্তিনি শহীদ

গাজা শহরের আস-সাফতাভি এলাকায় ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ওসামা আল-আরাবিদের বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। এর ফলে আটজন শহীদ এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এই সূত্রটি বলছে- এই হামলায় সাংবাদিকের পরিবারের সকল সদস্য শহীদ হয়েছেন। এছাড়া, গাজা উপত্যকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত দেইর আল-বালাহ শহরে বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন শহীদ বা আহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস শহরের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত মা'আন শহরটিও দখলদার বাহিনীর বোমা হামলা থেকে রেহাই পায়নি।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন শত শত ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তা

গাজায় ইহুদিবাদীদের গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর শত শত অফিসার গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ইহুদিবাদী সরকার এবং তাদের প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছেন। তারা এই যুদ্ধকে একটি রাজনৈতিক সংঘাত হিসাবে বর্ণনা করে বলেছেন, এই যুদ্ধ ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করবে না।  রিজার্ভ বাহিনী এবং বিভিন্ন সামরিক ইউনিটের সক্রিয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রায় ১,২০০ স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই চিঠিতে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ এবং সমস্ত বন্দীদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসরাইলি পার্লামেন্টে ইহুদি বন্দীদের মায়েদের প্রতিবাদ সমাবেশ

ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছেন, ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক লক্ষ্য হাসিলের জন্য যুদ্ধ অব্যাহত রাখার বিরোধিতা করে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ইসরাইলি বন্দীদের মায়েরা। ইসরাইলি পার্লামেন্টের ভেতরে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাজায়ে এখন যেসব ইহুদিবাদী বন্দীরা রয়েছে তাদের মায়েরা সন্তানদের মুক্তির বিষয়ে  দখলদার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার উদাসীনতার প্রতিবাদ করেছেন।#

Your Comment

You are replying to: .
captcha