ইয়াহিয়া সিনওয়ারের প্রতি আফ্রিকার সম্মাননা; শহীদ হামাস নেতাকে প্রতিরোধ পুরস্কার প্রদান

হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর প্রধান শহীদ ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে প্রতিরোধ দলের পতাকা তুলে নেওয়ার দায়িত্ব পান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর ইহুদিবাদী বাহিনীর বোমা হামলায় তিনিও শহীদ হন। ইরনা'র বরাত দিয়ে পার্সটুডে আরও জানায়, উপনিবেশবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জাতির সংগ্রাম উদযাপনের জন্য আয়োজিত একটি প্রতীকী অনুষ্ঠানে, প্যান-আফ্রিকান রেভোলিউশনারি পার্টি অফ নেশনস 'হামাস' পলিটিক্যাল ব্যুরোর শহীদ প্রধান 'ইয়াহিয়া সিনওয়ার'এর পরিবারকে ২০২৫ সালের বার্ষিক 'কোয়ামে ট্যুর' পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছে।

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠনের নেতৃত্ব দান এবং ইহুদিবাদী দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার রক্ষায় তাঁর অগ্রণী ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ, বিশেষ করে 'আল-আকসা তুফান' অভিযানের সময়, ওই পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

'আফ্রিকান স্বাধীনতা দিবস' এর বার্ষিকী উদযাপনের কাঠামোর মধ্যে ওই পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি অন্তর্ভুক্ত হয়। ২৫ মে, ১৯৬৩ তারিখে 'আফ্রিকার ঐক্য সংগঠন' প্রতিষ্ঠার বার্ষিকীর সাথে মিলে যায় এবং উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদের পাশাপাশি পরনির্ভরশীলতার বিরুদ্ধে আফ্রিকার জনগণের সংগ্রামকে স্মরণ করিয়ে দেয় এই দিবস।

ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের বিপ্লবী আন্দোলন এবং শহীদ সিনওয়ারের পরিবার এই পুরষ্কার গ্রহণ করেছে।

প্যালেস্টাইনের বিকল্প বিপ্লবী আন্দোলন এক বিবৃতিতে বলেছে: 'আফ্রিকান স্বাধীনতা দিবসের ওই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে এবং একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কোয়ামে ট্যুর পুরস্কার প্রদান করতে পেরে, সেইসাথে ফিলিস্তিনি জাতীয় মহান নেতা শহীদ ইয়াহিয়া সিনওয়ারের পরিবারসহ সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে তা উৎসর্গ করতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি।'

ওই আন্দোলনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে: এই পুরস্কার ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলন এবং আফ্রিকার মুক্তি আন্দোলনের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধনের গভীরতা ও শক্তির প্রতীক। তাদের ত্যাগ, শাহাদাত এবং তাদের বিপ্লবী নেতারা সর্বদা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন এবং কোয়ামে ট্যুরের অবস্থান সর্বদা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে স্পষ্ট এবং বিপ্লবী ছিল। শহীদ ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইহুদিবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালভাবেই বুঝতেন।#