আহলে বাইত (আ.) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা (আবনা): ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান রোববার পাকিস্তান সফরে এসে দেশটির সঙ্গে ১২টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর বলেন, ‘প্রিয় পাকিস্তানে এসে আমি খুবই আনন্দিত। এদেশ আমার দ্বিতীয় ঘর। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও তার সরকারকে আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
পেজেশকিয়ান বলেন, ইরান-পাকিস্তান বন্ধুত্ব গভীর ঐতিহাসিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ। পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ইরানের পররাষ্ট্রনীতির মূলভিত্তির একটি এবং পাকিস্তান শুধু প্রতিবেশী নয়, বরং ভাইসম দেশ।
ইরানি প্রেসিডেন্ট: ‘ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের ১২ দিনের সন্ত্রাসী আগ্রাসনের সময় ইরানের প্রতি পাকিস্তান সরকারের, সংসদের, রাজনৈতিক দলগুলোর এবং আলেম সমাজের সমর্থন আমাদের জন্য অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক ছিল।’
তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে তিন বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য বিদ্যমান, যা স্বল্প সময়েই ১০ বিলিয়নে উন্নীত করা সম্ভব। বাণিজ্য, পর্যটন, যোগাযোগ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় সম্প্রসারণে উভয় দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই সফরে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক, পর্যটন, পরিবহন, কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতসহ ১২টি চুক্তি সই হয়। চুক্তিগুলো সীমান্ত বাজার, যৌথ অর্থনৈতিক অঞ্চল, রেল-সড়ক-নৌপথে পরিবহন বাড়ানো, এবং সীমান্ত শহরগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সহযোগিতাকে কেন্দ্র করে।
তিনি বলেন, সীমান্তে সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবেলায় দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়েও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৩ জুন থেকে ১২ দিন ধরে ইসরাইল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায়। ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতাঞ্জ, ফরদো ও ইসফাহানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে বোমাবর্ষণ করে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩’-এর অংশ হিসেবে ইসরাইল অধিকৃত এলাকায় ২২ দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ঘাঁটি আল-উদেইদে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান।
Your Comment