৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ১২:৩৬
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদের জন্য নাগরিকত্ব আইন শিথিল করলো ভারত

ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বা সিএএ) আওতায় আবেদন করার সময়সীমা দশ বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ যদি ২০২৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে প্রবেশ করে থাকেন, তবে তারা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।



আগে এই সময়সীমা ছিল ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। নতুন সিদ্ধান্তে ১০ বছরের ছাড় দেওয়ায় আশ্রয়প্রার্থী অনেক মানুষের সামনে নতুন সুযোগ উন্মোচিত হলো।

২০১৯ সালে পাশ হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুযায়ী, প্রতিবেশী দেশগুলোর ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা, যেমন হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টানরা যদি নিজ দেশে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন, তবে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ হবে।

তবে মুসলিম সম্প্রদায়কে এর বাইরে রাখায় ভারতজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান গোষ্ঠীর ক্ষমতায় যাওয়ার পর সেখানে ঝুঁকিতে থাকা এবং বাংলাদেশ-পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের শিকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা এবার আইনি মর্যাদার আওতায় আসবেন।

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, নিপীড়িতদের জন্য সময়সীমা বৃদ্ধি প্রয়োজন ছিল। তবে নাগরিকত্ব প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও দ্রুততা জরুরি।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং আগামী দিনে আরও সহজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

নতুন সিদ্ধান্তের কারণে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে প্রবেশ করা কয়েক লাখ মানুষ নাগরিকত্বের সুযোগ পাবেন।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha