আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, তথ্যপ্রবাহ সীমিত থাকায় সব খবর যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে না, তাই তারা নিয়মিত আপডেট দেবেন।
শহিদুল আলম জানান, তাদের জাহাজটি মূল ফ্লোটিলা থেকে আলাদা হয়ে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। মূল নৌবহরের আটকের পর বর্তমানে এই নতুন নৌবহরই গাজার দিকে এগোচ্ছে এবং এটিকে শেষ নৌবহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুরু থেকেই কৌশল হিসেবে তারা মূল ফ্লোটিলা থেকে আলাদা হওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।
তিনি স্পষ্ট করেছেন, তাদের উদ্দেশ্য শুধু মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া নয়, বরং ইসরায়েলের আরোপিত ‘অবৈধ অবরোধ’ চ্যালেঞ্জ করা। তবে গাজার জনগণের ওপর বোঝা চাপাতে নয়, পর্যাপ্ত রসদ সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। প্রধান লক্ষ্য হলো নারী, শিশু, সাংবাদিক ও চিকিৎসকসহ অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বিদেশি মিডিয়ার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা।
শহিদুল আলম আরও জানিয়েছেন, সমুদ্রপথ আপাতত শান্ত হলেও আবহাওয়া অপ্রত্যাশিত হতে পারে। তারা ইসরায়েলি ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন এবং শুরু থেকেই প্রস্তুত। জাহাজটিতে মোট ৯৬ জন আরোহী রয়েছেন, যার মধ্যে ৮২ জন গণমাধ্যমকর্মী ও চিকিৎসক।
ভিডিও বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, আগের রাত তারা ফরাসি এনজিও ‘মেদসাঁ সঁ ফ্রোঁতিয়ের’-এর ১৪তম চিকিৎসকের মৃত্যুসংবাদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাদের অভিযোগ, ফরাসি সরকার কেবল বিবৃতি দিয়েছে, কার্যকর পদক্ষেপ হয়নি।
শেষে শহিদুল আলম বলেন, জনগণের ভালোবাসা ও উৎসাহই তাদের শক্তি দিচ্ছে, এবং তিনি বিশ্বাস করেন, শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিন মুক্ত হবে।
Your Comment