২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ - ১৯:৪৭
গাজার অবকাঠামো ধ্বংসের পেছনে মূল উদ্দেশ্য কী; ঠাণ্ডায় ৬ ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু

পার্সটুডে- ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর হামলায় শহীদের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ হাজার ৩৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে আরও বলেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর হামলায় শহীদের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ হাজার ৩৪৮ জনে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে আহতের সংখ্যাও বেড়ে এক লাখ ১১ হাজার ৭৬১ জনে পৌঁছেছে।

ইরনার বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় দুই শহীদের দেহ গাজা উপত্যকার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় একজন শহীদের দেহ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপরজন ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে শহীদ হয়েছেন এবং এই সময়ে দুইজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

গাজা উপত্যকায় ৪৭১ দিনের যুদ্ধ ও হত্যাযজ্ঞের সময় ইসরাইলি সেনাবাহিনী হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্য স্থির করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধের কাছে হার মেনেছে এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে।

গাজায় তীব্র ঠাণ্ডায় ৬ শিশুর মৃত্যু

গত কয়েক দিনে গাজা উপত্যকায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ছয়টি ফিলিস্তিনি শিশু মারা গেছে। বাসস্থান গরম করার সরঞ্জামের অভাবে এমনটি ঘটছে। এ প্রসঙ্গে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন (হামাস) ঘোষণা করেছে, গাজায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়েছে, কিন্তু বাসস্থান গরম রাখার ব্যবস্থা নেই। এ কারণে ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে, সেইসাথে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকটি শিশুর অবস্থার অবনতি হয়েছে। দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজায় মানবিক সাহায্য এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রবেশে বাধা দেওয়ার কারণে এই পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।

গাজা শহরের ৯০ শতাংশ বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে

দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরের মেয়র আহমাদ আস-সুফিও এই শহরের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেছেন, "ইসরাইলি বাহিনীর আক্রমণের ফলে শহরের ৯০ শতাংশ বাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।"

ইসরাইলি ধ্বংসযজ্ঞের উদ্দেশ্য গাজাকে বসবাসের অযোগ্য করে তোলা

জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের স্থায়ী প্রতিনিধি রিয়াদ মানসুর এক বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। তাদের লক্ষ্য গাজাকে বসবাসের অযোগ্য এলাকায় পরিণত করা।

পশ্চিম তীরে ইসরাইলি আগ্রাসনের তীব্রতা বৃদ্ধি

ইসরাইলি সৈন্যরা পশ্চিম তীরের নাবলুস এবং আল-খলিল শহরের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়েছে এবং ফিলিস্তিনি যুবকদের সাথে তাদের সংঘর্ষে হয়েছে। এই সংঘর্ষে একজন ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ৩১ জন আহত হয়েছেন।

আল-আকসা শহীদ ব্রিগেডের জানিয়েছে, এই সংঘর্ষে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে। এর ফলে বেশ কয়েকজন দখলদার সেনা আহত হয়েছে।

আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের নিন্দা

ফিলিস্তিনি ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন (হামাস) এক বিবৃতিতে পবিত্র রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশাধিকার সীমিত করার বিষয়ে দখলদার বাহিনীর পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে এবং এই পবিত্র স্থানে উপস্থিতি বৃদ্ধির জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।#