ফিলিস্তিনি বন্দী সমিতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে গাজার ৩৮ জন বন্দি রয়েছেন। তারা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে আটক অবস্থায় থাকা বহু ফিলিস্তিনি বন্দির মৃত্যুর তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনেছে।
বন্দি বিষয়ক কমিশন জানিয়েছে, মুসাব হানি হানিয়াহ নামে একজন ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরায়েলি হেফাজতে মারা গেছেন।
দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহর থেকে ৩৫ বছর বয়সী হানিয়াহকে ২০২৪ সালের ৩ মার্চ ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করে। তার পরিবারের মতে, আটকের আগে হানিয়াহ সুস্থ ছিলেন।ফিলিস্তিনি পরিসংখ্যান অনুসারে, ১৯৬৭ সালে তেল আবিব পশ্চিম তীর এবং গাজা দখলের পর থেকে ইসরায়েলি কারাগারে কমপক্ষে ২৯৬ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মারা গেছেন। অন্তত ১০ হাজার ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি রয়েছে।
এই পরিসংখ্যানে গাজা উপত্যকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি যাদের সংখ্যা আনুমানিক হাজার হাজার।এদিকে শেষের পথে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়। আর দুই-তিন দিনের মধ্যে চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হওয়ার কথা। তবে সেই পর্বে প্রবেশের জন্য ৪টি শর্ত রেখেছে ইসরায়েল।
শর্ত পূরণ না হলে চুক্তির প্রস্তাবিত ২য় পর্যায় শুরুর ব্যাপারটি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে বলে জানিয়েছেন দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী এবং যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এলি কোহেন।মঙ্গলবার ইসরায়েলি টিভি চ্যানেল কান-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে কোহেন বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের ৪টি শর্ত রয়েছে। এক, ৭ অক্টোবর এবং তার আগে যেসব ইসরায়েলিকে গাজায় বন্দি করা হয়েছিল— তাদের সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। দুই, গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে গাজা থেকে বিদায় নিতে হবে। তিন, গাজা উপত্যকাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ অস্ত্রমুক্ত করতে হবে এবং চার, পুরো গাজা এলাকায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
প্রায় ১৫ মাস ধরে অভিযান চলার পর প্রবল চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় ইসরায়েল।
সূত্র: টিআরটি আফ্রিকা, আনাদোলু এজেন্সি
342/
