গতকাল রোববার ইরানের নতুন বছর নওরোজ উপলক্ষে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর একদল কমান্ডার এবং কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা বিশ্বব্যাপী বলদর্পী শক্তিগুলোর দ্বৈত নীতির একটি উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এরা নিজেরা সবচেয়ে মারাত্মক এবং বিপর্যয়কর ধরণের অস্ত্রে সজ্জিত হচ্ছে কিন্তু অন্যরা প্রতিরক্ষা অগ্রগতি করতে উদ্যোগ নিলে সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সর্বোচ্চ নেতা বলেন, "সশস্ত্র বাহিনীতে দৃঢ়তা, বিশ্বাস, ইচ্ছাশক্তি,সাহস এবং আল্লাহর প্রতি আস্থা সর্বাধিক পরিমাণে উপস্থিত থাকতে হবে। কারণ ইতিহাস জুড়ে যেসব দাম্ভিক সেনাবাহিনীর মধ্যে এই বৈশিষ্ট্যগুলো ছিল না তারা পরাজিত হয়েছে।
তিনি সশস্ত্র বাহিনীকে দেশের জন্য দেয়াল এবং যেকোনো আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে জাতির আশ্রয়স্থল বলে অভিহিত করেন। এই জাতীয় দায়িত্ব পালনের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি এবং হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যার সতর্কতা অব্যাহতভাবে জোরদার করার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন: "দেশের অগ্রগতি ইরানের অশুভ কামনাকারীদের ক্ষুব্ধ ও হতাশ করেছে।"
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী ইসলামি ব্যবস্থার ইসলামি ও স্বাধীন অস্তিত্বকে শত্রুতা সৃষ্টির কারণ হিসেবে উল্লেখ করে আরও বলেন, 'শত্রুদের বিরক্তির কারণ 'ইসলামি প্রজাতন্ত্রের'র নামের জন্য নয়,বরং একটি স্বাধীনচেতা এবং একটি মুসলিম পরিচয়সম্পন্ন দেশ হওয়ার এবং তার মর্যাদার জন্য অন্যদের উপর নির্ভর না করার ইচ্ছাগুলো শত্রুদের ক্ষুব্ধ করে তুলছে।'
ইরানের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতিকে অশুভ কামনাকারীদের ক্রোধ এবং তাদের মিডিয়া বিতর্কের কারণ হিসেবে অভিহিত করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, তারা তাদের ইচ্ছার অংশ হিসেবে থাকা বিষয়গুলোকে সংবাদ এবং বাস্তবতা হিসেবে প্রকাশ করে এবং এই ইঙ্গিত এবং প্রচারণাগুলোকে অবশ্যই মোকাবেলা করতে হবে।
বৈঠকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি ইরান এবং এই অঞ্চলে ১৪০৩ সালের ঘটনাবলীর কথা উল্লেখ করে, ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী জাগরণ এবং ইহুদিবাদী শাসনের অপরাধের বিরুদ্ধে গাজা ও লেবাননের জনগণের ঐতিহাসিক প্রতিরোধকে নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গর্বের শিখর হিসাবে উল্লেখ করেন এবং মুজাহিদীন এবং প্রতিরোধের শহীদ কমান্ডারদের স্মৃতিকে সম্মান জানান।#
342/
Your Comment