ইউক্রেনের প্রতি রাশিয়াসহ পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যাপক আর্থ-সামরিক সাহায্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধকে তীব্র করে তোলে। আমেরিকা এখন এই যুদ্ধের অবসান চাইছে, এরিমধ্যে আমেরিকা ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে ভাগ বসিয়েছে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত পরবর্তী দফা আলোচনা আগামী বৃহস্পতিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পার্সটুডে'র তথ্য বলছে- রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দূত রুদিয়ুন মিরুশনিক ঘোষণা করেছেন, পাশ্চাত্যের দেশগুলো এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য প্রায় ৫৫০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। তার মতে, এই বিশাল সাহায্যের কারণেই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হয়েছে এবং এই বাজেট অস্ত্র ক্রয়, সৈন্যদের প্রশিক্ষণ এবং সেদেশকে লজিস্টিক সহায়তা প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমাদের মধ্যে বিভক্তি
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোকে বিভক্তি এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এমন সময় এ কথা বললেন যখন ইউক্রেনে পশ্চিমা দেশগুলোর বিশাল অস্ত্র সহায়তার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এই ধরনের যুদ্ধবিরতি শান্তি আলোচনার পথ খুলে দেয়। নিজেদের মধ্যে যাতে বিভক্তি দেখা না দেয় সে বিষয়ে পশ্চিমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
ইউরোপ নিজের বিষয়ে চিন্তিত: বিশ্লেষক
ইরানের বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইমাদ বশেনাস রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট ইস্যুতে বলেছেন, যাই হোক না কেন, বলা হচ্ছে ইউরোপীয়রা ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রাশিয়ার সাথে আপস না করার জন্য চাপ দিচ্ছে। বাস্তবতা হলো, ইউরোপ এখন নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে শত্রুতা করেছে। এখন তারা রাশিয়ার সাথে তাদের দীর্ঘ দিনের টানাপোড়েনের পরিণতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের মোহ ইউক্রেনের জন্য আজকের পরিণতি ডেকে এনেছে: ইতালীয় সংবাদপত্র
ইতালীয় সংবাদপত্র ইল ফাত্তো কোটিদিয়ানো ইউক্রেন সম্পর্কে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের অবস্থান সম্পর্কে লিখেছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এটা স্বীকারই করতে চান না যে ইউক্রেনের পতনে ইউরোপীয় নীতির ভূমিকা ছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, "ইউক্রেন সবকিছু হারিয়েছে এবং ম্যাক্রন এখন এটা স্বীকার করতে লজ্জা পাচ্ছেন যে, রাশিয়াকে পরাজিত করার প্রচেষ্টাই ইউক্রেনকে পতনের দিকে পরিচালিত করেছে।" প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেন ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের জন্য চেষ্টা করছিল, কিন্তু এখন তাদের সেখানে যুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। তারা সব হারিয়েছে।#
Your Comment