ট্রাম্পের মন্তব্যের বিরুদ্ধে ইরানের তীব্র প্রতিক্রিয়া
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যকে মিথ্যা, বিভাজনমূলক ও বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রাম্প যখন ইরানকে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে অভিযুক্ত করেন, তখন তাঁরই মিত্র ইসরাইল আমেরিকার সমর্থনে ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের বক্তব্য ইরানি জনগণের জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারবে না। এছাড়া গত ৭০ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের উন্নয়নে বাধা দিয়ে আসছে। ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে মার্কিন-সৌদি বিনিয়োগ ফোরামে এই অভিযোগ তোলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার রিয়াদে সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে বক্তৃতাকালে ইরানকে এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার জন্য অভিযুক্ত করেন।
ইরানে রুশ ব্যাংকের প্রথম শাখার অনুমোদন
ইরান-রাশিয়ার কৌশলগত অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে এবং দ্বিপাক্ষিক ব্যাংকিং অবকাঠামো গড়ে তুলতে রাশিয়ার একটি ব্যাংককে ইরানে প্রথমবারের মতো শাখা খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে এই অনুমোদন প্রদান করা হয়।
এই পদক্ষেপটি গত জানুয়ারিতে ইরান ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে সাক্ষাৎ ও একটি সমন্বিত কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষরের পর বাস্তবায়িত হলো। নতুন রুশ ব্যাংক শাখা খোলাকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইয়েমেনের প্যাড প্রতিরক্ষা: মার্কিন যুদ্ধবিমানের জন্য হুমকি
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামরিক পর্যবেক্ষণমাধ্যম “দ্য ওয়ার জোন” এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইয়েমেনের মোবাইল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমগুলো ইনফ্রারেড-নির্ভর রাডার প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, যা মার্কিন আধুনিক যুদ্ধবিমান, বিশেষত F-35 এর জন্য বিপজ্জনক হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেন সংঘাত থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য কৌশলগত শিক্ষা হিসেবে কাজ করছে। তারা এখন যাচাই করছে, এই প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ভবিষ্যতে উচ্চমূল্যযুক্ত বিমান ধ্বংসের সক্ষমতা রাখে কি না।
চীনের প্রতিক্রিয়া: আমেরিকা-ব্রিটেন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ
আমেরিকা ও ব্রিটেনর সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তির সমালোচনা করে চীন বলেছে, এই চুক্তি, তৃতীয় পক্ষকে (বিশেষ করে চীনকে) লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি আন্তর্জাতিক সরবরাহ লাইনকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অপচেষ্টা।
চীন আশঙ্কা করছে, এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটেনকে চীনা অর্থনৈতিক বলয়ের বাইরে নিয়ে যেতে চাইছে। চুক্তিটি আমেরিকায় ব্রিটিশ ইস্পাত ও গাড়ির রপ্তানির ওপর শুল্ক হ্রাসের কথা বললেও, এর শর্ত হলো — ব্রিটেনকে চীনের সরবরাহ ব্যবস্থার বাইরে চলে যেতে হবে। নতুন এই চুক্তিকে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।#
Your Comment