ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৩ থেকে ১৬ মে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন। সফরকালে দেশগুলোর শাসকরা কূটনৈতিক রীতিনীতির বাইরে গিয়ে ট্রাম্পকে নজিরবিহীনভাবে মূল্যবান উপহারসামগ্রী দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক্স ব্যবহারকারী দিমা হেলওয়ানি ট্রাম্পের আমিরাত সফরের একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন:
"এটি কোনো অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান নয়, এটা হলো দাসত্বের একটি সস্তা নাটক! ট্রাম্পকে একটি 'মুসলিম' আরব ভূমিতে খোলা চুলের নারীদের নাচ দিয়ে জাহেলি যুগের মতো স্বাগত জানানো হচ্ছে... যেখানে গাজায় নারী, শিশু ও পুরুষদের রক্ত এখনও ঝরছে।"
অন্য ব্যবহারকারী মালাতফ আল-মাজানি লিখেছেন:
"কাতার ট্রাম্পকে আকাশে একটি প্রাসাদ (বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭) উপহার দিয়েছে... অথচ ট্রাম্পই ইসরাইলকে সমর্থন দিয়ে গাজায় আরবদের গণহত্যা চালাতে সাহায্য করছে। যেসব নিরীহ মানুষের জন্য আরব নেতাদের উদারতা শূন্য!"
এক্স ব্যবহারকারী আবু ওয়ালিদ মন্তব্য করেন:
"শেখ (কাতারের আমির) ট্রাম্পের জন্য একটি বিমান উপহার এনেছেন। এই বখাটেদের জন্য বোয়িং পাঠানোর বদলে গাজায় একটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো কি ভালো হতো না,?"
সারা লার্চমোন্ট লিখেছেন: "ট্রাম্প যদি কাতার থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের একটি বিমান গ্রহণ করেন, তাহলে তা শুধু একটি উপহার নয়– এটি বড় ধরনের ঘুষও বটে। আর কোনো আইনপ্রণেতা যদি এ বিষয়ে চুপ থাকেন, তাহলে তিনিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতায় অংশ নিচ্ছে।”
কাতার কর্তৃক ট্রাম্পকে দেওয়া বোয়িং ৭৪৭-এর কথা উল্লেখ করে মিনা নিকজাদ বলেন: "বিমানটির ভেতরে সোনার পাত লাগানো বলে কথিত! এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘুষ।"
ইব্রাহিম আল-সাইয়েদি লিখেছেন: "আধুনিক আরব বিশ্বের নেতারা যখন ইসলামী উম্মাহর অর্থ ও সম্পদ দিয়ে পতনোন্মুখ আমেরিকার পকেট ভরছেন এবং গণহত্যাকারী ট্রাম্পকে শত কোটি ডলারের উপহার দিচ্ছেন, গাজা তখন তার সবচেয়ে ভয়াবহ দিনগুলো পার করছে। মাসের পর মাস গাজায় কোনো সাহায্য পৌঁছায়নি।"
এই প্রতিক্রিয়াগুলো ট্রাম্পের প্রতি আরব নেতাদের অতিরিক্ত আগ্রহ ও গাজার সংকটে তাদের নিষ্ক্রিয়তার প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। অনেকেই এটিকে 'আমেরিকার কাছে আরব নেতাদের নতি স্বীকার'ও 'গাজার মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা' হিসেবে দেখছেন।#
Your Comment