ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর ও ইসরাইলকে উপেক্ষা
ট্রাম্প সম্প্রতি ইসরাইল সফর এড়িয়ে পশ্চিম এশিয়ার সফরে দেশগুলোর দিকে মনোযোগ দেন। দ্য হিল-এর বিশ্লেষকদের মতে, এটি ইসরাইলের প্রতি ট্রাম্পের 'বিদ্বেষ' নয়, বরং একটি পরিষ্কার বার্তা যে, আমেরিকা এখনও একটি পরাশক্তি, যার নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে—ইসরাইলের 'অন্ধ সমর্থক' নয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, “এই বার্তাটি স্পষ্ট—যুক্তরাষ্ট্র একটি পরাশক্তি, ইসরাইলের মতন কোনো দেশকে নির্ভরতা বা অর্থনৈতিক সাহায্যের মাধ্যমে টেনে নিতে নয়, বরং নিজের কৌশলগত স্বার্থ রক্ষা করাই তার প্রাধান্য।”
নেতানিয়াহু কি সত্যিই আমেরিকার মিত্র?
‘দ্য হিল’-এর বিশ্লেষকের মতে, আমেরিকার রাজনৈতিক মহল দীর্ঘদিন ধরে যে কথা প্রকাশ্যে বলতে ভয় পেত, তা এখন সামনে এসেছে— নেতানিয়াহু প্রকৃতপক্ষে আমেরিকার মিত্র নন।
তিনি নিজেকে মিত্র হিসেবে তুলে ধরেন, কংগ্রেসে ভাষণ দেন, পশ্চিমা মূল্যবোধের কথা বলেন, কিন্তু বাস্তবে তিনি একজন ক্ষমতালিপ্সু রাজনীতিবিদ যিনি নিজের টিকে থাকার জন্য বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ধ্বংস করতেও পিছপা নন।
এই লেখকের মতে, ট্রাম্প অবশেষে এটি বুঝতে পেরেছেন এবং জোর দিয়ে কথা বলছেন বলে মনে হচ্ছে, পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টদের মতো নয় যারা ইসরাইলকে ফাঁকা চেক লেখার সময় নরমভাবে কথা বলতেন। কারণ সে বোঝে যে আমেরিকার হাতেই তুরুপের তাস।
গাজায় আগ্রাসনের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য?
প্রতিবেদনে বলা হয়, “নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন রাজনৈতিক বিপর্যয় থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য—নীতিগত বা নিরাপত্তার কারণে নয়।” প্রতিটি বোমা হামলার মাধ্যমে তিনি যুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের অবস্থান মজবুত করছেন, যাতে তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মামলাগুলো পেছনের সারিতে চলে যায়।
নেতানিয়াহু দীর্ঘদিন মার্কিন সমর্থনের অপব্যবহার করেছেন, এমনকী সমালোচকদের বিরুদ্ধে "ইহুদিবিদ্বেষী" তকমাও লাগিয়েছেন। তিনি ইসরাইলের লবি গ্রুপ American Israel Public Affairs Committee বা AIPAC-এর মাধ্যমে মার্কিন কংগ্রেসকে প্রভাবিত করে নিজের স্বার্থ চালিয়েছেন।
দ্য হিল-এর মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ইসরাইল-মার্কিন সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে—যেখানে যুক্তরাষ্ট্র অন্ধ সমর্থন না দিয়ে নিজের জাতীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দেবে।#
Your Comment