তিনি বলেছেন: ইরান ও আর্মেনিয়ার যৌথ সীমান্ত দুই জাতির ঐতিহাসিক যোগাযোগের পথ এবং তেহরান এই সীমান্তে কোনও অনুপ্রবেশের সুযোগ দেবে না।
বার্তা সংস্থা ইরনার বরাত দিয়ে পার্সটুডে আরও জানায়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ মঙ্গলবার ইয়েরেভানে আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোরেন পাপিকিয়ানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি ককেশাস অঞ্চলে বহি:আঞ্চলিক শক্তির উপস্থিতির বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেন: এ অঞ্চলের নিরাপত্তা বিধান অবশ্যই আঞ্চলিক দেশগুলোকেই পরিকল্পিতভাবে করতে হবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন: বিদেশী হস্তক্ষেপ এ অঞ্চলে কেবল আরও অস্থিতিশীলতাই সৃষ্টি করবে।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সময় ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্যের উল্লেখ করে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন: ইরান আর্মেনিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে এবং পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে বিদেশী শক্তির চাপবিহীন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেন: ইরানের প্রতিবেশী নীতিতে আর্মেনিয়ার একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। তেহরান ও ইয়েরেভানের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় এবং তা ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ককেশাস অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য বিশাল সুযোগ তৈরি করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ইরানে মুসলিম ও আর্মেনিয়ানদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কথা উল্লেখ করে নাসিরজাদেহ বলেন: ইরানের ইসলামী প্রজাতন্ত্রের নীতি হল সকল প্রতিবেশীর সাথে বিশেষ করে আর্মেনিয়ার সাথে সম্পর্ক জোরদার করা এবং কোনও বাধাই এই সম্পর্কের পথে প্রতিবন্ধক হতে পারবে না।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ আজারবাইজান প্রজাতন্ত্র এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনাকে সমর্থন করে জোর দিয়ে বলেন: ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরকে সমর্থন করে এবং এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে ইরান প্রস্তুত।
বৈঠক শেষে দু'দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।#
342/
Your Comment