১৫ জুলাই ২০২৫ - ১৪:৫০
গাজায় পানির খোঁজে যাওয়া ছয় শিশুকে হত্যা করল ইসরায়েল

গাজায় খাবার পানি সংগ্রহ করতে গিয়েও ইসরায়েলি নৃশংসতার শিকার হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। নির্বিচার গুলি ও বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে তাঁদের ওপর।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): গাজায় খাবার পানি সংগ্রহ করতে গিয়েও ইসরায়েলি নৃশংসতার শিকার হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। নির্বিচার গুলি ও বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে তাঁদের ওপর।  পানি সংগ্রহের সময় নতুন করে অন্তত ১০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের মধ্যে অন্তত ৬ জন শিশু। গাজায় খাবার ও পানির তীব্র সংকটের মধ্যেই এ হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল।


ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে একটি পানি সরবরাহকেন্দ্রে। এই শিবিরে সরবরাহ করা পানি পানযোগ্য নয় বলে আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। আজকের হামলায় সেখানে আরও ১৬ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে বিগত কয়েক মাসে প্রায় ১০ বার পানি সংগ্রহ করতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাল ইসরায়েল।

গাজার চিকিৎসা সূত্র থেকে জানা গেছে, পানি সংগ্রহ করতে যাওয়া ১০ জনসহ আজ ইসরায়েলের হামলায় উপত্যকাটিতে ৫৯ জন নিহত হয়েছেন। আর আগের দিন শনিবার নিহত হয়েছেন অন্তত ১১০ জন। এর মধ্যে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণকেন্দ্রে খাবারের আশায় গিয়ে হামলায় নিহত হন ৩৪ জন।

গাজা থেকে আল-জাজিরার সংবাদিক হানি মাহমুদ বলেন, জিএইচএফ থেকে একজনকে পুরো পরিবারের খাবারের একটি পার্সেল দেওয়া হচ্ছে। এই খাবার ক্ষুধার্ত শিশু ও পরিবারের সদস্যদের জন্য যথেষ্ট নয়।’ শনিবার গাজার জনসংযোগ কার্যালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে গাজায় অনাহারের কারণে অন্তত ৬৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

খাদ্য ও পানির অভাবে গত মার্চ থেকে গাজায় অপুষ্টিতে আক্রান্ত হওয়ার পরিমাণ বাড়ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউ। সে সময় থেকে উপত্যকাটি অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর পর থেকে সেখানে বাইরে থেকে কোনো ত্রাণসহায়তা নিয়ে আসতে পারেনি ইউএনআরডব্লিউএ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে দেশটিতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ইসরায়েল থেকে প্রায় আড়াই শ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসা হয়। সেদিন থেকেই উপত্যকাটিতে নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha