আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান তেল মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময় যুদ্ধকালীন জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, “আপনারা এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ সঠিক বোঝাপড়া ও যুদ্ধ পরিস্থিতি সঠিকভাবে অনুধাবন করে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়ে শত্রুর ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছেন।”
ইরানের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “জনগণের ঐক্য, ময়দানে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা ও ক্ষেপণাস্ত্রই শক্তি- ইসরায়েলের দম্ভকে চূর্ণ করেছে। এসব ছাড়া বিজয় অর্জন সম্ভব হতো না।
পেজেশকিয়ান ভবিষ্যতে যুদ্ধ এড়াতে কূটনীতিকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরে বলেন, "“যুদ্ধ কারো জন্যই মঙ্গল বয়ে আনে না এবং এর প্রকৃত কোনো বিজয়ী থাকে না। আমরা শান্তি, স্থিতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের কৌশল হলো—জাতীয় ঐক্য, অভ্যন্তরীণ সংহতি এবং প্রতিবেশী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা।”
তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “আমরা আগ্রাসনে বিশ্বাসী নই এবং এমন কিছু করারও ইচ্ছা নেই। তবে হুমকি ও চাপে আমরা মাথা নত করব না এবং দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলব।”
উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইসরায়েল বিনা উসকানিতে ইরানের ওপর বর্বর আগ্রাসন চালায়, যাতে বহু শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিক নিহত হন। এক সপ্তাহ পর, যুক্তরাষ্ট্রও এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) লঙ্ঘন করে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা বোমা হামলার মাধ্যমে ধ্বংস করে।
এর পাল্টা জবাবে ইরান সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা এবং কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায়, যা পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটি।
২৪ জুন, ইসরায়েল কোনো শর্ত ছাড়াই একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়, যা শক্তিশালী ও অনড় ইরানি প্রতিশোধের মুখে তাদের পরাজয়ের পরিষ্কার ইঙ্গিত বহন করে।
Your Comment