‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
রবিবার

২১ মার্চ ২০২১

৮:৪৩:১০ AM
1125143

ভারতে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সফর: চীনকে মোকাবেলা ও অস্ত্র বিক্রি গুরুত্বের শীর্ষে!

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড জেমস অস্টিন গতকাল (শুক্রবার) তিন দিনের এক রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। 

লয়েড মোদির সঙ্গে সাক্ষাতে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন কৌশলগত দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। মোদিও এই সাক্ষাতে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতার গুরুত্বকে জোর দিয়ে তুলে ধরেন। অজিত দোভালও নানা ক্ষেত্রে ও বিশেষ করে প্রতিরক্ষা খাতে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক ক্রমেই বাড়িয়ে তোলার আগ্রহের কথা জোরালোভাবে উল্লেখ করেছেন।

ভারত ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে বলে মনে করা হয়। এ বিষয়টিকে সামনে রেখে বাইডেনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন সরকার ভারতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এ ছাড়াও চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের আলোকে ওয়াশিংটন নয়াদিল্লিকে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কৌশলগত ক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টিতে দেখছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সীমান্ত-বিরোধ নিয়ে মতভেদ জোরদার হওয়ায় দিল্লি-বেইজিং সম্পর্ক বেশ শীতল হয়ে পড়ায় ওয়াশিংটন দিল্লিকে যেকোনোভাবে নিজ শিবিরে টানার এবং দিল্লির সঙ্গে সামরিক ও কৌশলগত সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। 

এ ছাড়াও ওয়াশিংটন দিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাও বাড়াতে চায়। ভারত-মার্কিন কৌশলগত সহযোগিতা পরিষদ মনে করে ২০২৫ সাল নাগাদ দিল্লি-ওয়াশিংটন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিনিময় ২৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে পৌঁছবে।  

ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত সামরিক প্রযুক্তিগুলো লাভের চেষ্টা করছে। অন্যদিকে মার্কিন সরকারও ভারতের অস্ত্র বাজারে তার উপস্থিতির মাত্রা ব্যাপকভাবে জোরদারে আগ্রহী। তবে রুশ-ভারত সহযোগিতা এক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে। গত কয়েক দশক ধরে রাশিয়াই হচ্ছে ভারতের কাছে নানা ধরনের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় বিক্রেতা। 

ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে এস-ফোর হান্ড্রেড নামক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার উদ্যোগ নেয়ায় মার্কিন সরকার ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিচ্ছে। ভারতে লয়েড অস্টিনের সফরে এ বিষয়টি প্রাধান্য পাবে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে ভারত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকিকে তেমন একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। বরং এস-ফোরহান্ড্রেড কেনার ওপর অবিচল থাকার কথা বলছে। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে আছে ওয়াশিংটন। কৌশলগত অস্ত্র লাভের জন্য ভারত ওয়াশিংটন ও মস্কো  উভয়কেই হাতে রাখতে চায়, তবে তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌম অবস্থান বজায় রেখেই। তাই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকি ও মোড়লীপনা এক্ষেত্রে ভারতকে খুব একটা বিচলতি করবে বলে মনে হয় না। ফলে রুশ 'এস-ফোর হান্ড্রেড' কেনা নিয়ে দিল্লি-ওয়াশিংটন দ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকবে বলেই পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।  #

342/