ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে এক অডিও বার্তায় তিনি একথা জানান।
স্টোলটেনবার্গ বলেন, “ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেবে। এ বিষয়ে এখন আর ‘যদি’র কোনো প্রশ্ন নেই বরং ‘কখন’ যোগ দেবে সেই প্রশ্ন রয়েছে। আমরা সেদিনের অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা আমাদের এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তার স্বার্থে দেশটির পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
ন্যাটো মহাসচিব বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার সামরিক অভিযান শুরু করেছেন কিয়েভের ন্যাটো সদস্যপদ আটকে দেয়ার জন্য। কিন্তু তিনি বাস্তবে ঠিক তার উল্টো ফল পেয়েছেন। ইউক্রেন এখন অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় ন্যাটোর কাছাকাছি রয়েছে।
স্টোলটেনবার্গ এমন সময় এ বক্তব্য দিলেন যখন ইউক্রেনকে সদস্যপদ দেয়া নিয়ে এখনও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। কোনো কোনো সদস্য দেশ বলছে, ইউক্রেনকে অন্তর্ভুক্ত করলে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট এ জোটকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হতে হবে।
রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার সাত মাস পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিক আবেদন জানান। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন পূর্বদিকে ন্যাটোর বিস্তার বিশেষ করে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে ওই অভিযান শুরু করেছিলেন। পুতিন বারবার ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের সদস্যপদ দেয়ার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।#
342/