গত ১৩ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার এলাকায় ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশে হামলা হয়। আহত হন ট্রাম্প। তার ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে যায়। যে ব্যক্তি গুলি চালিয়েছে তাকে সেখানেই হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তারা। এর ফলে হামলাকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে এবং এর নির্দেশদাতাদের নাম জানাও কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তারা এক ভিত্তিহীন দাবি তুলেছেন। তারা বলছেন, নির্বাচনী সমাবেশে হামলার কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। ট্রাম্পকে হত্যা করতে ইরানি পরিকল্পনা রয়েছে, এমন খবর জানার পর তার নিরাপত্তা জোরদার করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে যদি ট্রাম্পের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েই থাকে, তাহলে এই হামলা কীভাবে হলো? হামলাকারী ২০ বছরের তরুণ টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস কীভাবে ট্রাম্পের সমাবেশমঞ্চের এত কাছে রাইফেল হাতে চলে গিয়ে গুলি চালাতে পারলেন?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস তুলে ধরে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন তাদের বিবৃতিতে বলেছে, আমেরিকার ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, দেশটির রাজনৈতিক নেতা ও কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দেশটির রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মীরা বারবারই রাজনৈতিক সহিংসতা ও সন্ত্রাসের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে; এর স্পষ্ট উদাহরণ হলো ১৯৬৩ সালের নভেম্বরে টেক্সাসের ডালাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ড, ১৯৬৮ সালের জুনে ক্যালিফোর্নিয়ায় লস এঞ্জেলসে মার্কিন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রবার্ট কেনেডি হত্যাকাণ্ড, একই বছরের এপ্রিলে টেনেসি অঙ্গরাজ্যে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং হত্যাকাণ্ড।
জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ট্রাম্পকে একজন অপরাধী হিসেবে গণ্য করে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার আদেশ দেওয়ার জন্য আদালতে তার বিচার ও শাস্তি হতে হবে। তার বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে ইরান আইনি পথ বেছে নিয়েছে এবং সে পথেই এগোচ্ছে।
২০২০ সালের তিন জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি নির্দেশে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরাকের রাষ্ট্রীয় অতিথি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিসহ ১০ জনকে হত্যা করে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী। এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয় ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান।#