আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): বাহরি ইয়ানবু নামে সৌদির জাহাজটি জেনোয়া বন্দরে নোঙর করে। জাহাজটি জেনোয়া থেকে অস্ত্র বোঝাইয়ের কথা ছিল। যেগুলো আবুধাবিতে নিয়ে যাওয়া হতো।
যদিও বন্দরকর্মীরা জানতে পারেন, সৌদির পতাকাবাহী জাহাজটিতে আগে থেকেই অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদ ছিল। যেগুলো দখলদার ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হবে।
জাহাজটিতে অনেকটা জোরপূর্বক প্রবেশ করেন বন্দরের ৪০ কর্মী। তখন তারা ইসরায়েলের জন্য আনা অস্ত্রের খোঁজ পান। ইতালির জেনোয়াতে আসার আগে জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে গিয়েছিল। সেখান থেকেই এটি এসেছে।
জেনোয়ার অটোনোমাস কালেক্টিভ অব পোর্ট ওয়ার্কার্স অ্যান্ড ইউনিয়নের জোসে নিভোই বলেছেন, আমরা যুদ্ধের জন্য কাজ করি না।
তিনি জানিয়েছেন, সৌদির জাহাজের এই অস্ত্র ‘চোরাচালান’ ধরা পড়ার পর অস্ত্র চোরাচালান বন্ধে জেনোয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি স্থায়ী পর্যবেক্ষক দল গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে জেনোয়া বন্দরের কর্মীরা একইভাবে অস্ত্রবাহী একটি জাহাজ আটকে দিয়েছিলেন। বিমানের বাথরুমে বসে নেশায় বুঁদ যাত্রী, ধোঁয়া দেখে হতবাক পাইলট।
বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর মাস থেকে গাজায় বর্বর গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। দখলদাররা গাজায় যেন বর্বরতা চালাতে আর কোনো অস্ত্র না পায় সে জন্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বন্দর কর্মীরা তৎপর হয়েছেন।
গত ৪ জুন ফ্রান্সের ফোস-মার্সেইয়ের বন্দর কর্মীরা ইসরায়েলের জন্য বন্দরে আনা অস্ত্রের উপকরণ জাহাজে লোড করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর ওই জাহাজ অস্ত্র উপকরণ বোঝাই না করেই চলে গেছে।
Your Comment