আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): সংসদ সচিবালয়ের মুখপাত্র একরাম গিরি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘শতাধিক বিক্ষোভকারী সংসদ ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং মূল ভবনে অগ্নিসংযোগ করে।’
দ্রুত ঘটনাস্থলে বিপুল নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হলেও ভবনের বড় অংশ দাউদাউ করে জ্বলতে দেখা গেছে।
পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন অলি
অলি তার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, বর্তমান সংকটের ‘সংবিধানসম্মত সমাধানের পথ তৈরি করতে’ তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দিন দিন বিক্ষোভ তীব্র হওয়ায় এবং জনগণের চাপ চরমে পৌঁছানোয় তার পদত্যাগ অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছিল।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজধানী কাঠমান্ডু ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভকারীরা রাজপথ দখল করে বিক্ষোভ চালান। অলি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাসহ একাধিক শীর্ষ নেতার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। শাসক দল ও বিরোধী দলের কার্যালয়ও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে।
এদিকে সিভিল সার্ভিস হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মোহন রেগমি বিবিসিকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের বিক্ষোভে দুইজন নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ৯০ জন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রাণহানির ঘটনার পর নেপালজুড়ে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক তৎপরতা চালালেও বিক্ষোভকারীদের দমাতে পারছে না। আন্দোলনকারীরা শুধু নেতৃত্ব পরিবর্তন নয়, দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার ও জবাবদিহি নিশ্চিতের দাবিতে অনড় রয়েছেন।
Your Comment