১৭ নভেম্বর ২০২৫ - ০৮:০৬
গাজায় ওষুধ প্রবেশে বাধা/চিকিৎসা ব্যবস্থার চরম সংকট।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও গাজার সার্বিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয় নি।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): খালিল আল-দাকরান বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে না চলায় স্বাস্থ্য সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।




মুখপাত্র খালিল আল-দাকরানের অভিযোগ, ইসরায়েল এখনো গাজায় ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী ঢুকতে দিচ্ছে না এবং আহত ফিলিস্তিনিদের বিদেশে চিকিৎসার জন্য বের হওয়ার অনুমতিও আটকে রাখছে।


তার ভাষ্য অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র সম্পন্ন থাকা সত্ত্বেও ১৬ হাজার ৫০০ রোগী ও আহত ব্যক্তিকে গাজা ছাড়তে বাধা দেওয়া হয়েছে।


তিনি আরও জানান, তীব্র বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় অনেক চিকিৎসা কেন্দ্র ও অস্থায়ী মেডিকেল পয়েন্ট অকার্যকর হয়ে পড়েছে। কারণ এসব সেবা কেন্দ্রের টেন্টগুলো উড়ে গেছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গাজায় টেন্ট, মোবাইল হোম ও নির্মাণসামগ্রী প্রবেশের ব্যবস্থা করতে দাকরান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জরুরি ভিত্তিতে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান, যাতে বাস্তুচ্যুত মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমানো যায়।

শুক্রবার থেকে গাজায় ভারী বৃষ্টি, শীত ও ঝোড়ো হাওয়ায় হাজার হাজার তাবু ডুবে গেছে, যেখানে ইসরায়েলের দুই বছরের হামলায় বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঝড় রোববার সন্ধ্যার দিকে দুর্বল হতে পারে।

গত অক্টোবর ২০২৩ থেকে চালানো ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৯ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৭০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার গাজা উপত্যকা এখনো চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে, যদিও ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির ফলে হামলা কিছুটা থেমে আছে।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha