‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
মঙ্গলবার

১০ জানুয়ারী ২০২৩

৪:১৩:০৮ PM
1337494

'ইরানের অগ্রগতি ও শক্তিমত্তার নানা দিককে দুর্বল করতেই শত্রুরা দাঙ্গা উস্কে দিয়েছিল '

ইসলামী ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি বলেছেন, শত্রুরা ইসলামী ইরানের অগ্রগতি ও শক্তিমত্তার নানা দিককে দুর্বল করতেই সম্প্রতি প্রকাশ্যেই ইরানে দাঙ্গা উস্কে দিয়েছিল।

 ইরানের ধর্মীয় শহর কোমে অনুষ্ঠিত ১৯৭৮ সালের ৯ জানুয়ারির শাহ-বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকীর স্মরণে তেহরানে ওই প্রদেশ থেকে আসা সর্বস্তরের জনগণের এক সমাবেশে গতকাল এই মন্তব্য করেন সর্বোচ্চ নেতা।

সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইরানে সাম্প্রতিক সহিংসতায় শত্রুদের প্রোপাগান্ডা বিভাগ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তৎপরতা চালিয়েছে। শত্রুদের গণমাধ্যম এটা তুলে ধরতে চেয়েছিল যে, সহিংসতাকামীরা দেশ দুর্বল হোক এটা চায় না। কিন্তু ডাস্টবিনে আগুন দিয়ে এবং রাস্তায় সহিংসতা চালিয়ে কি এর সমাধান হবে? তারা চেয়েছিল ইরানের নিরাপত্তা দুর্বল করতে, শিক্ষা, গবেষণা ও  বৈজ্ঞানিক খাতের অগ্রগতি থামিয়ে দিতে। এ ছাড়াও তারা চেয়েছিল অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও উৎপাদনের তৎপরতা বাধাগ্রস্ত করতে যাতে জাতীয় আয় ও অগ্রগতি ব্যহত হয়। মার্কিন সরকার ও ইউরোপিয় সরকার এবং ইহুদিবাদী ইসরাইল নানা পন্থায় প্রকাশ্যেই ইরানের সাম্প্রতিক দাঙ্গায় উস্কানি দিয়েছিল।  অন্য কথায় এটা স্পষ্ট যে তারা ইরানের দুর্বলতাগুলোর সমাধান চায়নি বরং চেয়েছে ইরানের শক্তিগুলো হাতছাড়া হোক।

পশ্চিমা শক্তিগুলো ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক দাঙ্গায় মিডিয়া ও সাইবার জগতকে প্রচারণার কাজে লাগিয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি। দাঙ্গাবাজদের কাজকে তিনি দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলেও উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আরও বলেন, শত্রুদের নানা চক্রান্তে প্রোপাগান্ডা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। প্রোপাগান্ডা মোকাবেলার উপায় হচ্ছে সত্য ও বাস্তবতা তুলে ধরা।

 ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, কেউ কেউ বলেন আপনারা কেন আমেরিকাকে শত্রু বানাচ্ছেন! কিন্তু আমরা কি তাদেরকে শত্রু বানাচ্ছি?! ৪০ বছর ধরে তারা আমাদের রক্তের জন্য তৃষ্ণার্ত। কিন্তু আমরা তাদের শত্রুতা মোকাবেলা করে যাচ্ছি।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেীয় আরও বলেছেন, সদ্য-প্রকাশিত একটি ডকুমেন্ট আমার কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরে কার্টার ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পতন ঘটাতে সিআইএ-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন। অর্থাৎ বিপ্লবের প্রথম থেকেই এটাই ছিল তাদের পরিকল্পনা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো কী উপায়ে পতন ঘটাতে হবে সেটাও তাতে উল্লেখ করা হয়েছে। এটা হলো প্রোপাগান্ডা।

342/