‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
রবিবার

১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

৬:৩৮:১৫ PM
1436816

প্রযুক্তির যুগেও বইয়ের প্রতি বাড়ছে মানুষের আলাদা আগ্রহ; ধরে রাখার মেলবন্ধন একুশের বইমেলা

১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি শ্রী চিত্তরঞ্জন সাহা বাংলা একাডেমীর বর্ধমান হাউসের সামনের বটতলায় এক টুকরো চটের ওপর কলকাতা থেকে আনা ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলার শুরু করেন।

এখন বইমেলা হয়ে উঠেছে বাঙালির মনন ও উৎকর্ষের স্মারক। সামষ্টিক সৃজনের উর্বর জমিন। বইমেলার কথা ভাবলেই প্রাণে খুশির দোলা লাগে, উৎফুল্ল হয়ে উঠে মন। বইমেলা আনন্দ, মিলন আর ভাব আদান-প্রদানের এক গতিশীল স্টেশন। কত সাজে, কত বিন্যাসে কত বই আসে বইমেলায়। এ জ্ঞানগোলা বাঙালির মননের খনি। মেলায় আসা বইয়ের বিস্তুতি ও বিষয় পরিমাপ করা প্রায় অসম্ভব।  ১৯৭২ সালে ৩২টি বই দিয়ে শুরুর সেই যাত্রাপত্র আজ অনেক বিস্তৃত। বইমেলার আকারগত বিশালত্ব সাক্ষ্য দিচ্ছে জ্ঞান চর্চায় জাতি বেশ এগিয়েছে। আমাদের অগ্রগতি কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়নের বর্ননায় ধরা যাবে না। মেধা ও মননের চর্চায় ষাটের দশকের এক ক্ষুদ্র প্রয়াস কীভাবে মহীরুহে পরিণত হলো সেই বিষয়টা তলিয়ে দেখা দরকার। তাই তো ফেব্রুয়ারী এলেই অমর একুশে বই মেলা পরিণত হয় উৎসবের অনুষঙ্গে। এরই প্রতিটি দিন গড়াচ্ছে আর মেলায় ভিড় বাড়ছে বইপ্রেমী পাঠক, লেখক, দর্শনার্থীর। তবে ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে মেলায় মানুষের সর্বোচ্চ উপস্থিতি থাকবে বলে আশা করছেন বইমেলা সংশ্লিষ্টরা।

অফিস খোলার দিন রবিবারেও অনেকেই দল বেঁধে বইমেলায় এসেছেন। কেউ কেউ বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে, কেউবা পরিবার পরিজন, প্রিয় মানুষকে নিয়ে। শিশু, কিশোর-কিশোরীরাও এসেছে। মেলায় আগতরা ঘুরে ঘুরে দেখছেন নিজের প্রিয় লেখকদেরসহ মেলায় আসা নতুন বইগুলো। এ স্টল থেকে ওই স্টলে ঘোরাঘুরিতে কাটিয়ে দিচ্ছে সময়। পছন্দমত বইও কিনছে। অনেকে আবার দল বেঁধে এসে বিভিন্ন স্টল ঘুরে চলে যাচ্ছেন।

বইপ্রেমী পাঠকদের পাশাপাশি, বিনোদনের জন্যও মেলায় সমাগম বেড়েছে দর্শনার্থীদের। বইয়ের প্রতি মানুষের ভালোবাসায় উচ্ছ্বসিত লেখক-প্রকাশকরাও। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে বিস্তৃত অমর একুশে বইমেলার এগারোতম দিন গেল আজ। মেলায় যেমন অনেকে বই কিনতে আসছেন,তেমনি ঘুরতেও আসছেন অনেকে। প্রযুক্তির যুগে,বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ ধরে রাখতে মেলবন্ধন একুশের বইমেলা। শিশুদেরও বইমেলায় নিয়ে এসেছিলেন অনেক অভিভাবক। স্টলে স্টলে ঘুরে নানারকম বই দেখে তাদেরও উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। লেখক-প্রকাশকদের প্রত্যাশা, সামনের দিনগুলোতে মেলায় বই বিক্রি আরও বাড়বে। #

342/